হাসপাতালের সামনে গাড়ি থামিয়ে নির্মল ঘোষের সঙ্গে কথা বলছেন মুখ্যমন্ত্রী। নিজস্ব চিত্র
বৃষ্টি মাথায় নিয়েই হাসপাতালের বাইরে প্রশিক্ষণরত নার্সদের নিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন রোগী কল্যাণ সমিতির সভাপতি নির্মল ঘোষ।
পরিষ্কার করা হয়েছিল হাসপাতাল চত্বরের আগাছা। বদলানো হয়েছিল শয্যার চাদরও। সক্কাল সক্কাল হাজিয় হয়েছিলেন চিকিৎসক-নার্স সকলেই।
আইআইটি-র সমাবর্তনে যোগ দিতে বৃহস্পতিবার বিকেলেই জেলায় এসেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার আইআইটি-র ৬৪তম সমাবর্তনে যোগ দিতে যাওয়ার পথে মুখ্যমন্ত্রী পরিদর্শন করতে পারেন, সেই জন্য প্রস্তুত ছিলেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সকাল পৌনে ১১টা নাগাদ আইআইটি-র সমাবর্তনে যাওয়ার পথে খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালের সামনে দাঁড়াননি তিনি। তবে বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ ফেরার পথে হাসপাতালের গেটের সামনে দাঁড়িয়ে পড়ে মুখ্যমন্ত্রীর কনভয়। গেটের পাশেই নির্মলবাবুর সঙ্গে দাঁড়িয়ে পড়েছিলেন সুপার কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায়। গাড়ি থামতেই ছুটে যান নির্মলবাবু।
মুখ্যমন্ত্রী নির্মলবাবুর উদ্দেশ্যে বলেন, “তখন থেকে বৃষ্টিতে ভিজছিস কেন? হাসপাতালটা ভাল করে দেখে রাখিস। ভাল করে কাজ কর।” তার পরেই ডেকে নেন সুপার কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায়কে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “হাসপাতালের সবকিছু ঠিকঠাক চলছে তো? কোনও সমস্যা নেই তো?” সুপার হাসিমুখে মাথা নাড়তেই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “ভাল করে হাসপাতালের জন্য আপনারা কাজ করুন।” এরপরেই রওনা দেন মুখ্যমন্ত্রী।
পরিদর্শনে না গেলেও মুখ্যমন্ত্রী পরামর্শ পেয়ে আপ্লুত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। মহকুমা হাসপাতালের সুপার কৃষ্ণেন্দুবাবু বলেন, “আইআইটি যাওয়ার পথে মুখ্যমন্ত্রীর হাসপাতালে আসার সম্ভাবনা থাকায় আমরা প্রস্তুত ছিলাম। তবে উনি হাসপাতালে না এলেও কনভয় থামিয়ে হাসপাতালের বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়ায় আমরা
খুব খুশি।”
আর রোগী কল্যাণ সমিতির সভাপতি তথা জেলা কর্মাধ্যক্ষ নির্মল ঘোষ বলেন, “হাসপাতালে দিদি আসবেন বলে আশা করেছিলাম। তবে এ ভাবে কনভয় থামিয়ে উনি আমাদের সঙ্গে হাসপাতালের বিষয়ে কথা বলেছেন। এটা বাড়তি পাওনা।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy