বিধানসভায় পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির (পিএসি) চেয়ারম্যান পদ ছাড়ার ব্যাপারে অনড় মানস ভুঁইয়া জানিয়ে দিলেন, এ বার তিনি তাঁর ‘জেহাদ’ ব্লক স্তর পর্যন্ত নিয়ে যাবেন!
মানসবাবুর অভিযোগ, বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান তাঁর বিরুদ্ধে ‘চক্রান্ত’ করছেন, কংগ্রেসেও তাঁকে কোণঠাসা করা হচ্ছে।
তাঁর কথায়, ‘‘আমি ৭ বারের বিধায়ক। যে ভাবে আমার যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে অসম্মান করা হচ্ছে, ব্লক স্তরের কংগ্রেস কর্মীদের কাছে তা তুলে ধরতে চাই। তাঁরাই আসল কংগ্রেস।’’
মানসবাবু আজ, বৃহস্পতিবার প্রকাশ্যে তাঁর অবস্থান সবিস্তার ব্যাখ্যা করতে চান। পিএসি চেয়ারম্যান পদ না ছাড়লে মাথার উপরে এআইসিসি-র শাস্তির খাঁড়া ঝুলছে।
কাল, শুক্রবারই প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির বর্ধিত বৈঠক। সেখানেও তাঁকে সমর্থনের লোক কম। এই পরিস্থিতিতে নিচু তলার কর্মীদের সমর্থনই ভরসা মানসবাবুর।
কী ভাবে মান্নান তাঁর বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছেন, তা জানিয়ে বুধবার দলের বিধায়কদের কাছে পাল্টা চিঠি দিয়েছেন মানসবাবু। চিঠিতে তাঁর বক্তব্য, মান্নানের ভূমিকায় কেবল কংগ্রেস পরিষদীয় দলই নয়, গোটা দলই নিন্দিত হয়েছে। পিএসি-র পদে তাঁর নাম ঘোষণার পিছনে মান্নান তৃণমূলের বিরুদ্ধে চক্রান্তের
অভিযোগ তুলেছিলেন।
তা নস্যাৎ করে মানসবাবু চিঠিতে বলেছেন, ‘‘এর পিছনে আমার, স্পিকারের এবং মুখ্যমন্ত্রীর কোনও চক্রান্ত নেই।’’ মানসবাবু নিজেই এ দিন কংগ্রেস পরিষদীয় দলের উপনেতা নেপাল মাহাতো, সচেতক মনোজ চক্রবর্তীর হাতে নিজের চিঠি তুলে দেন। মান্নান অবশ্য বিধানসভায় ছিলেন না। মানসবাবুর চিঠি জমা পড়েছে বিরোধী দলনেতার সচিবালয়ে।
মানসবাবুকে ঘিরে কংগ্রেসে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তার পূর্ণ ফায়দা নিচ্ছে তৃণমূল। শেওড়াফুলিতে এ দিনই যেমন ২১ জুলাইয়ের প্রস্তুতি-সভায় তৃণমূলের যুব সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় মন্তব্য করেছেন, ‘‘মান্নান সাহেব বিরোধী দলনেতার পদকে অসম্মান করছেন। ওই পদকে কলঙ্কিত করে মানুষকে বিভ্রান্ত করছেন। হাত প্রতীককে উনি চৈত্র সেলের মতো সিপিএমকে বিক্রি করে দিয়েছেন!’’
সবংয়ের বিধায়ক মানসবাবু জানিয়েছেন, মান্নান এবং প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী তাঁর বিরুদ্ধে যা বলছেন, তিনি আজ সে সবের জবাব দেবেন। মান্নান অবশ্য বলেছেন, ‘‘হতাশাগ্রস্ত হয়ে কেউ কিছু বলতেই পারেন!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy