প্রতীকী ছবি।
প্রাথমিক স্কুলে শূন্যপদ পূরণের লক্ষ্যে শিক্ষক বদলি নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে শাসক শিবিরে। দলের নেতা-সমর্থকদের বদলি ঠেকাতে দলে দলে দরবার শুরু করেছেন তৃণমূলের নেতারা। শুধু শিক্ষক সংগঠনই নয়, গত এক সপ্তাহে অন্তত তিরিশ জন বিধায়কও বদলি ঠেকাতে দরবার করেছেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে।এই পরিস্থিতি সম্পর্কে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘‘কিছু আবেদন-আর্জি দফতরে এসেছে। খতিয়ে দেখব।’’
দলীয় সূত্রে খবর, মামলা ও অন্যান্য কারণে প্রাথমিক স্কুলে শূন্যপদ পূরণে এই বদলির পথ নিয়েছিল শিক্ষা দফতর। যে সব সব শিক্ষক অতিরিক্ত সেখান থেকে শূন্য পদ পূরণের এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই বদলির নির্দেশ পাঠানো শুরু হতেই দলের অন্দরে চাপানউতোর শুরু হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে ডুয়ার্স, পশ্চিমাঞ্চল ও সুন্দরবনের প্রায় তিন হাজার শিক্ষককে বদলির নির্দেশ পাঠানো হয়েছে। তারপর থেকেই সেই বদলির নির্দেশ রদে জেলা ও রাজ্য স্তরে তদ্বির শুরু হয়ে গিয়েছে। এই নির্দেশ কার্যকর করা হলে দলের যে রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক ক্ষতি হবে, মুখ্যমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীকে তা জানিয়ে দিয়েছেন তৃণমূলের প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠনের সভাপতি অশোক রুদ্র। জেলা ও ব্লক স্তরের তৃণমূলের শিক্ষক সংগঠনের নেতা ও সংগঠকদের নাম রয়েছে এই তালিকায়। তাঁদের তরফেও রাজ্য নেতৃত্বের উপরে চাপ তৈরি করা হচ্ছে।
শূন্যপদ পূরণের জন্য এই বদলির বিষয়টি কার্যকর করতে জেলা শাসকদের মাথায় রেখে একটি কমিটি গড়া হয়েছে। সেখানে প্রাথমিক শিক্ষা বোর্ডের প্রতিনিধিরা আছেন। সেই কমিটিই এই বদলির এতালিকা তৈরি করেছে তা নিয়েই ক্ষোভের তৈরি হয়েছে শাসকদলে। গত দু’দিনে পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম সহ একাধিক জেলার বিধায়কেরা শিক্ষামন্ত্রীর কাছে এই বদলির নির্দেশ কার্যকর না করার অনুরোধ করেছেন। একই অনুরোধ এসেছে জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার থেকেও। এই অবস্থার কথা স্বীকার করে তৃণমূলপ্রাথমিক শিক্ষক সংগঠনেরসভাপতি বলেন, ‘‘এই বদলির নির্দেশ নিয়ে আমাদের আপত্তি আছে। কারণ যে তালিকা তৈরি হয়েছে তা বাস্তব পরিস্থিতি মেনে হয়নি।’’
শাসকদলের শিক্ষক সংগঠনের আশঙ্কা, দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে এই পরিস্থিতি তৈরি হলে সমস্যা আরও বেশি হবে। শিক্ষা দফতরের এক শীর্ষ আধিকারিকের বলেন, ‘‘সব স্তরে আলোচনা করেই একটি নির্দিষ্ট নীতি নেওয়া হয়েছিল। তাই এই প্রক্রিয়া আপাতত স্থগিত রাখতে হলেও তা উচ্চপর্যায়ে ঠিক করতে হবে।’’ সরকারি সূত্রে খবর, দ্বিতীয় পর্যায়ের বদলির তালিকাও তৈরি করা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy