প্রতীকী ছবি।
সংখ্যালঘু এলাকা থেকে রক্তদান শিবিরে রক্ত সংগ্রহ কম হয়— প্রথম দু’বছর এই ‘মিথ’ ভাঙতে চেয়েও ব্যর্থ হয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু দমে যাননি। বরং এই নিয়ে প্রচারে এগিয়ে দেন মৌলবি, হাজিদের। তার পরে কয়েকটা রক্তদান শিবির হয়ে গিয়েছে। এখনও দোরে দোরে গিয়ে রক্তদানের উপকারিতা নিয়ে হাতেকলমে বোঝাচ্ছেন মুফতি ফেদাউল মোস্তাফা, হাজি আলাউদ্দিন আনসারি, হাজি ফিরোজ আহমেদ এবং ইমাজুদ্দিনরা। এই প্রচেষ্টার ফল হাতেনাতে মিলেছে। স্বাধীনতা দিবসে ৫১ ইউনিট রক্তদান হয়েছে গোয়ালপোখরের পাঞ্জিপাড়া গ্রামে।
ছ’বছর আগে এলাকার তরুণ পারভেজ, আজহারউদ্দিন, রাজি আহমেদরা একজোট হয়ে একটি সংগঠন তৈরি করেছিলেন, যার মূল লক্ষ্য এলাকায় রক্তদানের পরিমাণ বাড়ানো। আজহারউদ্দিন বলেন, ‘‘প্রথম দু’বছর আমরা সফল হইনি। শেষে ২০১৫ সালে হজরত মহম্মদ এর মানবিক বাণী তুলে ধরে মৌলবি, হাজি এবং মুফতি সাহেবদের আসরে নামানো হয়।’’
প্রচারে নেমে খুশি মৌলবি, হাজিরা। বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার করছেন তাঁরা। সেই দলেরই এক জন সদস্য হাজি ফিরোজ আহমেদ বলেন, ‘‘রক্তদানে অনেকের মধ্যে ভয়-ভীতি কাজ করে। সচেতনতার অভাব থেকেই আসে এই ভয়। এমনও লোক আছেন, যাঁরা পরিবারের লোকেদের জন্যও রক্ত দিতে চান না।’’
তাঁদের সকলেরই দাবি, লাগাতার প্রচার করতে করতে অবশেষে ফল মিলেছে। প্রথম বছরে ২৫৫ জন, তার পরের দুই বছরে যথাক্রমে ২৩১ জন এবং ২০১ জন করে রক্ত দিয়েছেন। স্বাধীনতা দিবসের দিনেও ভালই সাড়া মিলেছে বলে দাবি করেছে সংগঠনটি। রাজ্যর মন্ত্রী গোলাম রব্বানি উপস্থিত ছিলেন মঙ্গলবারের ওই অনুষ্ঠানে। তিনি বলেছেন, ‘‘মৌলবি এবং মুফতি সাহেব রক্তদানে উৎসাহিত করছেন। তাঁদের এই ভূমিকা প্রশংসাযোগ্য।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy