‘ফেস্ট’এর নামে জবরদস্তি করে টাকা আদায়ের অভিযোগের প্রেক্ষিতে আজ, বৃহস্পতিবার বৈঠকে বসতে চলেছেন সেন্ট পলস ক্যাথিড্রাল মিশন কলেজ কর্তৃপক্ষ। সূত্রের খবর, এ দিনই এ বিষয়ে শিক্ষা দফতরের তরফে ফোন করে কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। বৈঠকের পরে এ নিয়ে শিক্ষা দফতরকে রিপোর্ট পাঠানোর কথা কলেজ কর্তৃপক্ষের। সেন্ট পলস কলেজের টিচার ইনচার্জ দেবাশিস মণ্ডল বুধবার বলেন, ‘‘দ্রুত আলোচনা করে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ফের বলছি, এ ভাবে টাকা তোলা বরদাস্ত করা হবে না। তবে ১০ হাজার টাকা চাওয়া বা চার হাজার টাকা নেওয়ার অভিযোগ আমরা আগে পাইনি।’’ ২৭ নভেম্বর আমহার্স্ট সেন্ট পলস কলেজে তিন দিনের ‘ফেস্ট’ শুরু হওয়ার কথা।
এ দিন ছুটি ছিল। সূত্রের খবর, বন্ধ ক্যাম্পাসের দরজা খুলিয়ে সেখানে বৈঠক করেন ছাত্র সংসদের সদস্যেরা। ছিলেন জবরদস্তি করে টাকা আদায়ের দায়ে অভিযুক্ত মঙ্গলদীপ মণ্ডল এবং ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক সৌরভ হালদার। এ বিষয়ে ফোন করা হলে তাঁরা এ দিন কোনও মন্তব্য করতে চাননি। সৌরভ বলেন, ‘‘কিছু বলব না।’’ মঙ্গলদীপের বক্তব্য, ‘‘যা বলার কলেজের শিক্ষকদের বলব।’’ ছাত্র সংসদের সাংস্কৃতিক সম্পাদক বিপ্লব হালদার বলেন, ‘‘আমায় ফোন করে মিটিংয়ে ডাকা হয়েছিল। অনেক দিন থেকেই টাকা তোলা হচ্ছে কলেজে। এ জন্য তিন মাস আগেই ইউনিয়নের কাজ থেকে নিজেকে সরিয়ে নিই। এ দিনও তাই যাইনি।’’
‘ফেস্টে’র জন্যই পড়ুয়াদের থেকে ৩০০ টাকা করে চাঁদা তোলার অভিযোগ টিচার ইনচার্জ দেবাশিসবাবুর কাছে দায়ের হয়েছে। এক ছাত্রের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে এক ছাত্রনেতার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে চার হাজার টাকা পাঠানোর অনলাইন পেমেন্টের রসিদ প্রকাশ্য এসেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই ছাত্র এ দিন বলেন, ‘‘সকাল থেকেই ফোনে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। বৃহস্পতিবার কলেজ খুললে টিচার ইনচার্জের দ্বারস্থ হব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy