সম্পত্তি ভাঙচুর নিয়ে বিলের প্রতিবাদে কোমর বাঁধছে বিরোধীরা। বিক্ষোভ বা প্রতিবাদের সময় সম্পত্তি নষ্ট হলে আন্দোলনকারীদের সাজা দেওয়া এবং তাঁদের সম্পত্তি নিলাম করার সংস্থান রেখে সিদ্ধার্থশঙ্কর রায়ের আমলের পুরনো বিলের উপরে সংশোধনী বিধানসভায় পেশ হচ্ছে আজ, বুধবার। সংশোধনী বিলে আন্দোলনকারীদের দুষ্কৃতী বা সমাজবিরোধীর তকমা দেওয়া হয়েছে! বিরোধী কংগ্রেস এবং বামফ্রন্ট এমন বিলের তীব্র বিরোধিতা করছে।
প্রথা মেনে কোনও বিল নিয়ে আলোচনার আগে বিধায়কেরা সংশোধনী জমা দিতে পারেন। কিন্তু এই বিল বিধানসভায় পেশ হওয়ার আগের দিন পর্যন্ত বিরোধীরা কোনও সংশোধনীই দেননি। কারণ, তাঁরা মনে করেন এই ‘কালা বিল’ পেশ হওয়াই উচিত নয়! বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান ও বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী মঙ্গলবার আলোচনা করে ঠিক করেছেন, দু’পক্ষের বিধায়কেরাই আজ বিল পেশের সময়ে বিক্ষোভ দেখাবেন। সেই মর্মে পোস্টার-ফেস্টুনও তৈরি হচ্ছে।
বিরোধীদের এই বিক্ষোভের সূত্রেই এক দশক আগে বিধানসভার অলিন্দে ভাঙচুরের স্মৃতি আবার ফিরবে রাজ্য আইনসভায়! সিঙ্গুরে আন্দোলন চলাকালীন স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে তৃণমূল বিধানসভার অলিন্দে যে তাণ্ডব করেছিল, তার দায় আগে স্বীকার করতে হবে বলে দাবি মান্নান-সুজনদের। সে দিনের ঘটনার ছবি ও ভিডি়ও ফুটেজ নিয়ে প্রদর্শনীরও আয়োজন করছে কংগ্রেস।
তবে এ সবের মধ্যে এক টুকরো অস্বস্তিও রয়েছে কংগ্রেসের জন্য। সেই ২০০৬ সালের ৩০ নভেম্বর বিধানসভার অলিন্দে ভাঙচুরের সময় সক্রিয় ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল বাগদার তৎকালীন তৃণমূল বিধায়ক দুলাল বরকে। ঘটনার ছবিতে তিনি স্পষ্টতই দৃশ্যমান। সেই দুলালবাবু এখন কংগ্রেসের বিধায়ক। দলের এক বর্ষীয়ান বিধায়ক অবশ্য বলছেন, ‘‘কোনও ব্যক্তির জন্য এমন বিলের প্রতিবাদ করব না, তা তো হয় না!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy