উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ।
পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেবের পরে এ বার উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। দার্জিলিং জেলায় ভোটে দলের হার নিয়ে সরব হলেন রবীন্দ্রনাথবাবু। রবিবার দুপুরে শিলিগুড়িতে তৃণমূলের শিক্ষা সেলের একটি প্রস্তুতি সভায় উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী বলেন, ‘‘এই লোকসভা কেন্দ্রে বারবার হারি। এ বার যেন তা না হয়। সমস্ত বিজেপি বিরোধী ভোটকে একত্রিত করতে হবে।’’ কর্মীদের নিয়ে কর্মশালা করা, রাজ্যের নানা প্রকল্পের প্রচারের কথাও বলেন তিনি।
গত শনিবারই দলের মহিলা সংগঠনের সভায় মন্ত্রী গৌতম দেব শিলিগুড়িতে দলের হাল নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছিলেন। লোকসভা, বিধানসভা, পুরসভা থেকে মহকুমা পরিষদে পরপর হারের দায়িত্ব নিয়ে আত্মবিশ্লেষণের পাশাপাশি মন্ত্রী দলের নেতানেত্রীদের বুথস্তর থেকে আরও সক্রিয় হওয়ার পরামর্শ দেন। শিলিগুড়ি নিয়ে দলের উত্তরবঙ্গের দুই জেলার দুই সভাপতির বক্তব্যকে ঘিরে দলের অন্দরে আলোচনা শুরু হয়েছে।
এই অবস্থায় আজ, সোমবার দার্জিলিং পাহাড় সফরে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাহাড়ে সরকারি কর্মসূচির সঙ্গে একদিন মুখ্যমন্ত্রীর উত্তরকন্যায় থাকার কথাও রয়েছে। আগামী লোকসভা ভোটে এ জেলায় পাহাড় ও সমতল মিলিয়ে দল যাতে ভাল ফল করে তা চান তৃণমূল নেত্রী। এই পরিস্থিতিতে ভুল-ত্রুটি সংশোধন করে কাজে নামতে চাইছেন তৃণমূল নেতারা। রবিবারই বিকেলের পরে শিলিগুড়ির কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে ৩৩ ওয়ার্ডের পরিস্থিতি নিয়ে জেলা কমিটির সভা করেছেন গৌতম দেব। পুর এলাকার আরও ১৪টি সংযোজিত ওয়ার্ড নিয়েও কর্মিসভা হয়েছে।
গৌতমবাবু বলেন, ‘‘আমি একা কাজ করলে তো হবে না। সবাই মিলে কাজ করতে হবে। প্রতিটি সভা থেকে কর্মীদের সেই বার্তা দিচ্ছি।’’ বুথকর্মীদের তালিকা, ফোন নম্বরের ব্যাঙ্ক তৈরি হচ্ছে বলে জানান তিনি। মন্ত্রী বলেন, ‘‘এ জেলার ভোটের ফলাফল আমাদের বদল করতেই হবে। এর কোনও বিকল্প নেই।’’
২০১১-তে শিলিগুড়ি বিধানসভায় জিতেছিল তৃণমূল। তারপরে বিজেপি-মোর্চার কাছে পরপর লোকসভা ভোট, শিলিগুড়িতে সিপিএমের কাছে বিধানসভা, পুরনিগম এবং মহকুমা পরিষদ ছাড়াও গ্রামীণ এলাকায় দু’টি বিধানসভা আসন কংগ্রেসের কাছে হেরেছে তৃণমূল। দলের এই ফলে এক দফায় গৌতমবাবুকে জেলা সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। পরে অবশ্য তৃণমূল নেত্রী তাঁকে ফের জেলা সভাপতির দায়িত্বে এনেছেন।
দলের জেলা কমিটির কয়েকজন নেতার কথায়, দলের মধ্যে গোষ্ঠী কোন্দল রয়েছে। গত ১৫ অগস্ট শহরের দুই প্রান্তে দু’টি অনুষ্ঠান হয়েছে। আরেকটি অংশের দাবি, তাঁদের দায়িত্ব না দেওয়ায় ভোটে প্রভাব পড়ছে। তৃণমূলত্যাগী ভাইচুং ভুটিয়া লোকসভায় হেরে দলের একাধিক নেতানেত্রীর বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy