ভূ-ভারতের প্রশংসা কুড়িয়েছে কন্যাশ্রী প্রকল্প। পাঠ্যক্রমেও ঠাঁই হয়েছে তার। এ বার কি তার প্রচারে নামানো হচ্ছে খুদে পড়ুয়াদের? এই প্রশ্ন উঠছে শিক্ষা শিবিরে। শুরু হয়ে গিয়েছে জোরদার বিতর্কও।
বিতর্কের মূলে আছে কন্যাশ্রী নিয়ে স্কুলপড়ুয়াদের ‘আউটডোর’ কর্মসূচি। ২০১৯ থেকে বিষয়টি চালু হচ্ছে বলে জানিয়েছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। ব্যাঙ্কের সঙ্গে এই প্রকল্পের সম্পর্ক কোথায়, প্রশাসনিক স্তরে কী ভাবে এই প্রকল্প চলছে, তার খোঁজখবর ও প্রচারে পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়াদের এ বার সরাসরি যুক্ত করা হচ্ছে। মঙ্গলবার প্রকাশিত পর্ষদের বিজ্ঞপ্তি জানাচ্ছে, পাঠ্যক্রমের বাইরেও ‘আউটডোর’ কাজ হিসেবে কন্যাশ্রী প্রকল্পের অন্তর্ভুক্তি ঘটানো হয়েছে। সেই সঙ্গে রাখা হয়েছে অঙ্গদান, বন্যপ্রাণ সংরক্ষণের মতো বিষয়ও।
পর্ষদের এক কর্তা জানান, এখন শুধু আউটডোরের শিক্ষা হিসেবে কন্যাশ্রীকে রাখা হয়েছে। এই কাজে মূলত ছাত্রীদের ব্যাঙ্কে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে কী ভাবে প্রকল্পের টাকা পাওয়া যায়, তা হাতেকলমে দেখানো হবে। থানা, মহকুমাশাসক, জেলাশাসকের দফতরে কী ভাবে কাজ হয়, তা-ও শেখানো হবে পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণির ওই পড়ুয়াদের।
কিন্তু বিরোধী শিক্ষক-নেতাদের অভিযোগ, সরকার এ ভাবে প্রচার চালাচ্ছে। কলেজিয়াম অব এএইচএম-এর সম্পাদক সৌদীপ্ত দাস বলেন, ‘‘স্কুলে শুধু প্রচার হচ্ছে। পড়াশোনাটাই বাদ!’’ পর্ষদের এক কর্তা জানান, কন্যাশ্রী প্রকল্পে সব ছাত্রী উপকৃত হয়। তারা যদি প্রথমেই হাতেকলমে তার পুরোটা জেনে যায়, ক্ষতি কী? বিতর্ক অর্থহীন।
২৬ জানুয়ারি, ১৫ অগস্টের মতো পালনীয় দিনে সব শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর স্কুলে হাজিরা বাধ্যতামূলক করা হল। প্রার্থনায় থাকতে হবে সব শিক্ষক ও পড়ুয়াকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy