সঙ্গী: শাশুড়ি ও মেয়েকে নিয়ে মিতা। নিজস্ব চিত্র
প্রধানমন্ত্রী পদে নরেন্দ্র মোদীর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে বুধবার রাতেই দিল্লি রওনা দিলেন পুলওয়ামায় জঙ্গি হানায় নিহত বাউড়িয়ার চককাশীর সিআরপিএফ জওয়ান বাবলু সাঁতরার স্ত্রী মিতা সাঁতরা।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তাঁদের বাড়িতে গিয়ে মিতা ও বাবলু সাঁতরার মা বনমালা সাঁতরাকে দিল্লি যাওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়ে আসেন বিজেপি নেতারা।
আমন্ত্রণ পাওয়ার কথা স্বীকার করে বুধবার দুপুরে মিতাদেবী বলেন, ‘‘আমার কাছে বিজেপির নেতারা এসেছিলেন। আমাকে এবং আমার শাশুড়িকে তাঁরা প্রধানমন্ত্রীর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে হাজির থাকার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘যেহেতু দেশের প্রধানমন্ত্রীর শপথ গ্রহণ, তাই সেখানে হাজির থাকার বিষয়ে আমাদের আপত্তি নেই। তবে বিষয়টি নিয়ে পরে রাজনীতি করা হলে তা আমাদের পক্ষে অস্বস্তির কারণ হতে পারে। তাই আমি তাঁদের সাফ জানিয়েছি, আমরা ওই অনুষ্ঠানে যেতে পারি, তবে আমাদের ওই অনুষ্ঠানে হাজির থাকা নিয়ে পরে কোনও রাজনীতি করা যাবে না। বিজেপি নেতারা আমাদের সেই আশ্বাস দিয়েছেন।’’ এরপরেই এদিন রাতে মেয়েকে নিয়ে রাজধানী এক্সপ্রেসে দিল্ল রওনা দেন মিতা।
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় জম্মুর পুলওয়ামাতে সিআরপিএফের কনভয়ে হানা দেয় জঙ্গিরা। মোট ৪৯ জন জওয়ান নিহত হন। তাঁদের মধ্যেই ছিলেন চককাশীর বাসিন্দা ৩৯ বছরের জওয়ান বাবলু। জওয়ানরা নিহত হওয়ার পরে কনভয়ের নিরাপত্তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে ক্ষোভ দেখা দেয়। ক্ষোভ প্রকাশ করেন মিতাদেবীও। সেইসময়ে তিনি সংবাদমাধ্যমের কাছে জানিয়েছিলেন, যথেষ্ট নিরাপত্তা থাকলে হয়ত এই মৃত্যু এড়ানো যেত। এমনকী আকাশপথে ওই জওয়ানদের কেন নিয়ে যাওয়া হয়নি সেই প্রশ্নও তোলেন মিতাদেবী।
শুধু তাই নয়, ওই ঘটনার পরে যখন সারা দেশ প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য ফুটছে তখন মিতাদেবী সংবাদমাধ্যমে বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছিলেন পাল্টা হামলা কোনও সমাধান নয়। শান্তির পক্ষে বার্তা দিয়েছিলেন তিনি। যদিও ভারত ও পাকিস্তান এই দু’টি দেশের মধ্যে সীমান্তে সমস্যা কীভাবে মিটবে সেই দায়িত্ব দেশের সরকারকেই নিতে হবে বলে জানিয়েছিলেন মিতাদেবী। পরবর্তীকালে এ বিষয়ে আর কোনও মন্তব্য করতে চাননি তিনি। এমনকী প্রধানমন্ত্রীর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে হাজির থাকার আমন্ত্রণ পাওয়ার পরে তাঁকে এ প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করা হলেও তিনি মন্তব্যও করতে চাননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy