কেন্দ্রীয় সরকার সারা দেশে খাদ্য সুরক্ষার বন্দোবস্ত করেছে। পশ্চিমবঙ্গেও বেশ কিছু অঞ্চলে সেই ব্যবস্থা চালু হয়েছে। তারই পাশাপাশি রাজ্যের আরও দেড় কোটি মানুষকে সস্তায় চাল দেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।
কেন? নবান্নের খবর, পশ্চিমবঙ্গে খাদ্য সুরক্ষা ব্যবস্থা চালু হলেও অনেক বাসিন্দা ওই প্রকল্পের বাইরে রয়ে গিয়েছেন। মূলত তাঁদেরই দু’টাকা কিলোগ্রাম দরে চাল দেওয়া হবে বলে ঠিক করেছেন নবান্নের কর্তারা। এই খাতে অতিরিক্ত ২৫০ কোটি টাকা খরচ করা হবে বলে খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক শুক্রবার জানান।
খাদ্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা চালু হয়েছে রাজ্যের আটটি জেলায়। অগস্টে আরও চার জেলায় তা চালু হবে। সেপ্টেম্বরের মধ্যে বাকি সব জেলায় খাদ্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা চালু হয়ে যাবে বলে খাদ্যমন্ত্রীর দাবি। ওই প্রকল্পে রাজ্যের ছ’কোটি এক লক্ষ মানুষ তিন টাকা কিলোগ্রাম দরে চাল এবং দু’টাকা কিলোগ্রাম দরে গম পান। খাদ্যমন্ত্রী জানান, খাদ্য সুরক্ষা ব্যবস্থার আওতায় রাজ্যের অন্তত ৮৭ শতাংশ বাসিন্দাকে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু কেন্দ্র সেই দাবি মানেনি। তাই এ বার রাজ্যের নিজস্ব তহবিল থেকেই নতুন দেড় কোটি বাসিন্দাকে সস্তার চাল দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
যাঁরা বিপিএল তালিকাভুক্ত এবং যাঁরা এপিএল (দারিদ্রসীমার উপরের বাসিন্দা) থেকে নতুন করে বিপিএল হয়েছেন, মূলত তাঁদেরই খাদ্য সুরক্ষা প্রকল্পের আওতায় রাখা হয়েছে। খাদ্য দফতরের কর্তার ব্যাখ্যা, এর বাইরে যে-অংশটি রয়েছেন, তাঁদেরই সস্তার চাল দেবে সরকার। খাদ্যমন্ত্রী জানান, এখন আয়লা-বিধ্বস্ত সুন্দরবনের ১৫টি এবং জঙ্গলমহলের ৩১টি ব্লকের মানুষ, বন্ধ ও খোলা চা-বাগানের শ্রমিক, সিঙ্গুরের অনিচ্ছুক কৃষকেরা দু’টাকার চাল পাচ্ছেন। ওই সব এলাকায় যাঁরা দারিদ্রসীমার উপরে, তাঁরা সপ্তাহে আট কিলোগ্রাম করে সস্তার চাল পাচ্ছেন। তাতে বছরে ৯৫০ কোটি টাকা খরচ হচ্ছে। আরও দেড় কোটি মানুষকে চাল দিলে খরচ বেড়ে হবে ১২০০ কোটি টাকা।
রাজ্যে খাদ্য সুরক্ষা ব্যবস্থা চালু হলে বছরে ৩৮ লক্ষ মেট্রিক টন চাল লাগবে। কেন্দ্র নির্দেশ দিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ সরকার যে-পরিমাণ চাল ফুড কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়া বা এফসিআই-কে দিতে চাইবে, তার পুরোটাই কিনতে হবে তাদের। এতে আখেরে লাভ চাষিদেরই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy