প্রতীকী ছবি।
আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রোডে, খন্না মোড়ের কাছে একটি বহুতলে থাকেন তিনি। পেশায় ব্যবসায়ী। রাজনৈতিক পরিচয়ে তিনি বিজেপির স্থানীয় নেতা। মুকুল রায়েরও ঘনিষ্ঠ।
শেয়ার ব্যবসায় প্রতারণার অভিযোগে ওই ব্যবসায়ীকে মঙ্গলবার রাতে গ্রেফতার করেছে লালবাজার। পুলিশ জানায়, ধৃতের নাম শরদ সিংহ। মুকুল এপিসি রোডের ওই আবাসনে শরদের ছেলেদের কাছ থেকে একটি ফ্ল্যাট দিন সাতেক আগে কিনেছেন তাঁর অফিস করার জন্য। শরদই ফ্ল্যাটের হদিস দেন তাঁকে।
গোয়েন্দা সূত্রের খবর, শরদের বিরুদ্ধে সোমবার রাতে বড়তলা থানায় প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেন শ্যামসুন্দর ধানুকা নামে ওই বহুতলেরই অন্য এক বাসিন্দা। তিনি পেশায় শেয়ার কেনাবেচার দালাল। ধানুকার অভিযোগ, ২০১১-র জানুয়ারিতে শরদের পরামর্শে একটি সংস্থা থেকে তিনি কিছু শেয়ার কেনেন। ২০১২ সালে টের পান, ওই শেয়ার কেনার ফলে তাঁর প্রায় এক কোটি টাকা ক্ষতি হয়ে গিয়েছে।
আত্মীয়দের অভিযোগ, শরদের পরিবারের কাছ থেকে কেনা ফ্ল্যাটে মুকুলের অফিস হচ্ছে, এই ‘অপরাধ’-এই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মুকুল তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরে তাঁর ঘনিষ্ঠ কয়েক জনকে পরপর গ্রেফতার করা হয়েছে। অক্টোবরে বাগুইআটি থেকে গ্রেফতার করা হয় মুকুল-ঘনিষ্ঠ দু’জনকে।
মুকুল বুধবার বলেন, ‘‘একদলীয় শাসন কায়েম করার চেষ্টা চলছে রাজ্যে। গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধের জন্য মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসিয়ে গ্রেফতার করা হচ্ছে বিরোধীদের। শরদ সিংহ পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তির মানুষ।’’ তবে গোয়েন্দা-প্রধান বিশাল গর্গ জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তের পরেই শরদকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ধৃতকে ১৪ দিন পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়ার জন্য ব্যাঙ্কশাল কোর্টে আর্জি জানান সরকারি আইনজীবী দীপনারায়ণ পাকড়াশি। অভিযুক্তের আইনজীবী সুমিত চৌধুরী বলেন, ‘‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে আমার মক্কেলকে ফাঁসানো হয়েছে। ঘটনাটা ছ’বছর আগেকার। অভিযোগকারী এত দিন কী করছিলেন?’’
প্রায় আধ ঘণ্টা ধরে দু’পক্ষের সওয়াল-জবাবের পরে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মধুমিতা বসু সরকারি আইনজীবীকে ভর্ৎসনা করে বলেন, ‘‘ছ’বছর আগেকার ঘটনায় এত দিন বাদে অভিযোগ দায়ের করা হল কেন? আপনিই বা বিস্তারিত ভাবে সব না-জেনে অভিযোগকারীর হয়ে সওয়াল করতে এসেছেন কেন?’’
ধৃতকে দু’দিন পুলিশি হাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy