Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪
West Bengal News

সাংসদ পদে ইস্তফা দিলেন মুকুল, সাংবাদিক বৈঠকের আগে জোর জল্পনা দিল্লিতে

মুকুল শিবিরের বক্তব্য, কংগ্রেসের নীতির বিরোধিতা করেই ১৯৯৭-এর শেষ দিকে তৃণমূল গঠনের তোড়জোড় শুরু হয়েছিল। বিজেপির সহায়তাতেই বাংলার তথা দেশের রাজনীতিতে তৃণমূল প্রতিষ্ঠা পেয়েছিল বলে মুকুল রায়ের মত।

তৃণমূলের বিরুদ্ধে মুখ খুলবেন মুকুল। কী বলবেন প্রাক্তন রেলমন্ত্রী। জল্পনা শুরু রাজনৈতিক শিবিরে। ছবি: পিটিআই।

তৃণমূলের বিরুদ্ধে মুখ খুলবেন মুকুল। কী বলবেন প্রাক্তন রেলমন্ত্রী। জল্পনা শুরু রাজনৈতিক শিবিরে। ছবি: পিটিআই।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১১ অক্টোবর ২০১৭ ১৫:৫৫
Share: Save:

কংগ্রেস বিরোধিতার জন্যই যে দলের জন্ম হয়েছিল, সেই দল আজ নীতি-আদর্শ বিসর্জন দিয়ে কংগ্রেসের সঙ্গেই সবচেয়ে বেশি মাখামাখি করছে। সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর সাংবাদিক বৈঠকে সর্বাগ্রে এই অভিযোগই করবেন মুকুল রায়। প্রাক্তন রেলমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে এমনই খবর মিলেছে। তৃণমূলের সঙ্গে মুকুল রায়ের সম্পর্ক ছিন্ন হয়েছিল পুজোর মধ্যেই। পুজো মিটলে সাংসদ পদ তিনি ছেড়ে দেবেন বলে মুকুল রায় জানিয়েছিলেন। কথা মতো আজ, বুধবার রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নায়ডুর কাছে গিয়ে সাংসদ পদে ইস্তফা দিলেন তৃণমূলের এককালের সেকেন্ড-ইন-কম্যান্ড। বিকেলে নিজের নয়াদিল্লির বাসভবনেই সাংবাদিক বৈঠক ডেকেছেন মুকুল। সেখানেই ব্যাখ্যা করবেন নিজের অবস্থান।

সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিতে যাওয়ার জন্য বেঙ্কাইয়া নায়ডুর কাছে আগেই সময় চেয়েছিলেন মুকুল রায়। বেঙ্কাইয়া তাঁকে প্রথমে সন্ধ্যা ৬টায় সময় দেন। কিন্তু বেঙ্কাইয়াকে মুকুল রায় জানান, বিকেলে নিজের বাসভবনে তিনি সাংবাদিক বৈঠক ডেকেছেন। সেই সাংবাদিক বৈঠকের আগেই ইস্তফা পর্ব সেরে ফেলতে চান তিনি। মুকুলের আর্জি মেনে এর পর তাঁকে সাড়ে তিনটেয় সময় দেওয়া হয়। সাড়ে তিনটেতেই সংসদ ভবনে গিয়ে রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের হাতে ইস্তফাপত্র তুলে দেন মুকুল রায়।

আরও পড়ুন: ঋতব্রতের নামে এ বার দায়ের ধর্ষণের অভিযোগ

নীতিগত কারণেই যে তিনি তৃণমূল ছাড়লেন, সে কথাই এ দিন বিকেলের সাংবাদিক সম্মেলনে বলবেন মুকুল রায়। খবর তাঁর ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রের। পুজোর মধ্যেই তিনি জানিয়েছিলেন, পুজো মিটলে বিশদে ব্যাখ্যা, কেন ছাড়ছেন তৃণমূল। এ দিন সাংবাদিক বৈঠক মূলত সেই লক্ষ্যেই ডাকা হয়েছে বলে খবর।

আরও পড়ুন: কাজ কোথায়? ক্ষুব্ধ মমতা বদলালেন জেলা সভাপতি

মুকুল শিবিরের বক্তব্য, কংগ্রেসের নীতির বিরোধিতা করেই ১৯৯৭-এর শেষ দিকে তৃণমূল গঠনের তোড়জোড় শুরু হয়েছিল। ১৯৯৮-এর ১ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিক ভাবে তৃণমূল কংগ্রেস গঠনের কথা ঘোষিত হয়। তার পরে জাতীয় স্তরে বিজেপির হাত ধরে তৃণমূল। বিজেপির সহায়তাতেই বাংলার তথা দেশের রাজনীতিতে তৃণমূল প্রতিষ্ঠা পেয়েছিল বলে মুকুল রায়ের মত। সেই তৃণমূল এখন কেন বিজেপি-কেই সবচেয়ে বড় প্রতিপক্ষ মনে করছে, কেন ফের কংগ্রেসের সঙ্গে মাখামাখি শুরু হয়েছে— সাংবাদিক বৈঠকে এ দিন সেই প্রশ্নই মুকুল তুলবেন বলে খবর। বাংলার রাজনীতিতে সুবিধাজনক অবস্থায় থাকার জন্য তৃণমূল কি সাম্প্রদায়িক তোষণের নীতি নিচ্ছে? সেই কারণেই কি বিজেপি বিরোধিতা দেখিয়ে কংগ্রেসের সঙ্গে মাখামাখি? প্রচ্ছন্ন ভাবে এমন প্রশ্নই নাকি তোলা হবে।

দু’এক দিনের মধ্যেই মুকুল রায় কলকাতা ফিরবেন। তার পরে জেলা সফর শুরু করার কথা রয়েছে তাঁর। তবে ১৪ অক্টোবর দিল্লিতে ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের একটি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে আমন্ত্রিত হয়েছেন মুকুল রায়। সেই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে তাঁর ফের দিল্লি যাওয়ার কথা রয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE