প্রতারণার অভিযোগে ধৃত সৌভিক বণিক
পরনে তুঁতে রঙের টিশার্ট আর নীল জিন্স। পায়ে কোনও চপ্পল বা জুতো নেই। বিধ্বস্ত চেহারা। প্রতারণার অভিযোগে ধৃত সৌভিক বণিককে বুধবার জঙ্গিপুর আদালতে নিয়ে আসার সময় আদালত চত্বরে ভালয় ভিড় ছিল। জিয়াগঞ্জে সপরিবার শিক্ষক খুনের ঘটনায় প্রথম থেকে নাম জড়িয়েছিল বীরভূমের রামপুরহাটের সৌভিক বণিকের।
ফলে এ দিন আদালতে আসা লোকজন থেকে আইনজীবী সকলেরই নজর ছিল সৌভিকের দিকে। বেলা সাড়ে ১০টা নাগাদ সৌভিককে আদালতে আনা হয়। লকআপে নিয়ে গেলে সৌভিক মেঝেতে দীর্ঘক্ষণ হাটু গেড়ে বসেছিল।
বেলা ২টো নাগাদ পুলিশ সৌভিককে এসিজেএম সুপর্ণা সরকারের এজলাসে নিয়ে যায়। সেখানে অন্য অভিযুক্তদের সঙ্গে একেবারে পিছনের সারিতে দেওয়ালে হেলান দিয়ে মুখ নিচু করে দাঁড়িয়েছিল সৌভিক। বিচারক জানতে চান, তার শরীর কেমন আছে। সৌভিক জানায়, তার পায়ে ব্যথা।
এ দিন অভিযুক্তের হয়ে কোনও আইনজীবী দাঁড়াননি। সরকার পক্ষের আইনজীবী তদন্তের স্বার্থে সৌভিকের ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতের আবেদন জানান। তবে এসিজেএম ১২ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। সরকারি আইনজীবী রাতুল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘সৌভিকের বিরুদ্ধে একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা করা হয়েছে। এ দিন এসিজেএম অভিযুক্তকে ১২ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন।’’
জিয়াগঞ্জের বন্ধুপ্রকাশ পাল সপরিবার খুন হওয়ার পর থেকেই ঘুরে ফিরে উঠে আসে সৌভিকের নাম। পুলিশের হাতে ধরার পড়ার ভয়ে পালিয়েও বেড়াচ্ছিল সৌভিক। এমনকি প্রথমে নিজের মোবাইল ফোন বন্ধ রেখেছিল। পরে সেটি ভেঙেও ফেলে। এ সব কারণে তার প্রতি পুলিশের সন্দেহ আরও বেড়েছিল।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সৌভিক এক সময় বহরমপুরে থাকত। বছর তিনেক বহরমপুরের পঞ্চাননতলা এলাকায় থেকে অর্থলগ্নি সংস্থায় কাজও করেছে। সৌভিকের সঙ্গে জুটি বেঁধে স্ত্রী বিউটি পালের নাম দিয়ে ওই লগ্নি সংস্থার কাজ করতেন বন্ধুপ্রকাশ পালও।
এ দিন আদালত থেকে বেরনোর সময় সৌভিক বলেছে, ‘‘আমি নির্দোষ, আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে। আমার বাড়ি থেকেও কেউ আসেনি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy