বাংলার সংস্কৃতি মঞ্চ-এর সাংবাদিক সম্মেলনে মহম্মদ মনিরুল শেখ।
সম্প্রতি ট্রেনের মধ্যে এক যুবককে মারধর করার ভিডিয়ো নাড়িয়ে দিয়েছিল গোটা সমাজকে। অসহিষ্ণুতা কোন পর্যায়ে পৌঁছতে পারে তার জ্বলন্ত উদাহরণ হয়ে উঠেছিল ভিডিয়োটি। দেখা গিয়েছিল, এক যুবককে প্রধানমন্ত্রীর নাম জিজ্ঞাসা করা হচ্ছে। যুবকটি তা বলতে না পারায় চলছে চড়থাপ্পড়। প্রশ্ন করা হয়েছিল, জাতীয় সঙ্গীত কী? উত্তর এসেছিল, ‘‘জানি না ঠিক।’’ সঙ্গে সঙ্গে সপাটে এক চড়।
ঘটনার পরেই সেই আক্রান্ত যুবকের পাশে দাঁড়িয়েছিল বাংলার সংস্কৃতি মঞ্চ। বিচারের দাবিতে সরব হয় তারা। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় কেউ গ্রেফতার হয়নি। শুক্রবার কলকাতা প্রেস ক্লাবে সেই আক্রান্ত যুবককে পাশে বসিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করলেন মঞ্চের প্রতিনিধিরা। মহম্মদ মনিরুল শেখ নামে আক্রান্ত সেই যুবক বিবরণ দিলেন সে দিনের ঘটনার। তাঁর কথায়, ‘‘আমাকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল প্রধানমন্ত্রীর নাম, জাতীয় সঙ্গীতের নাম। আমি বলতে পারিনি। তাতেই চড় মারা হয় আমাকে। এর পর মুখ্যমন্ত্রীর নামও জানতে চাওয়া হয়। সেটি বলেছিলাম। তখনও ফের মারল ওরা।’’
কারা সে দিনের ঘটনার ভিডিয়ো করছিলেন? মনিরুলের উত্তর: ‘‘যাঁরা মারছিলেন, তাঁদের মধ্যেই এক জন ভিডিয়ো করছিলেন।’’ বসার জায়গা নিয়েও সে দিন কথা কাটাকাটি হয়েছিল। যদিও মনিরুলের দাবি, ‘‘সে কারণে আমাকে মারধর করা হয়নি। প্রধানমন্ত্রী বা জাতীয় সঙ্গীত না বলতে পারায় এবং মুখ্যমন্ত্রীর নাম বলার জন্যই আমাকে চড় মারা হয়েছিল।’’
পাশাপাশি, বাংলার সংস্কৃতি মঞ্চ পাশে দাঁড়ানোয় এখন তিনি যে অনেকটাই ভয় মুক্ত, তা-ও জানালেন মনিরুল।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী কে জানিস না! সপাটে চড়, গালি
ঘটনাটি গত ১৪ মে-র। কলকাতা থেকে মালদহের কালিয়াচকে ফিরছিলেন জামাল। আধার কার্ড অনুযায়ী নামটা অবশ্য মহম্মদ মনিরুল শেখ। হাওড়া থেকে ট্রেনে উঠে জানলার ধারেই আসন পান তিনি। ব্যাগটা রেখে নেমেছিলেন চা খেতে। উঠে দেখেন, তাঁর জায়গায় বসে অন্য এক জন। দলে তাঁরা চার জন। মনিরুল আসনটা ছেড়ে দিতে বলেন। তাতেই ঘটনার শুরু। কোনও না কোনও প্রশ্ন করা হচ্ছে মনিরুলকে, থমকালেই চড়। চলল প্রায় আধ ঘণ্টা। ব্যান্ডেলে নেমে যায় ওই দলটি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy