Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

তরুণীর রহস্য মৃত্যু বেতাইয়ে

অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হল মূক ও বধির এক তরুণীর। যদিও মৃতার পরিবারের দাবি, দুষ্কৃতীদের ছোড়া অ্যাসিডেই এমন অঘটন। প্রাথমিক ভাবে পুলিশ ও চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, অ্যাসিড নয়, অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা গিয়েছেন নদিয়ার বেতাইয়ের বছর ত্রিশের ওই তরুণী।

নিজস্ব সংবাদদাতা
করিমপুর ও কৃষ্ণনগর শেষ আপডেট: ০৮ অগস্ট ২০১৬ ০৪:১১
Share: Save:

অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হল মূক ও বধির এক তরুণীর। যদিও মৃতার পরিবারের দাবি, দুষ্কৃতীদের ছোড়া অ্যাসিডেই এমন অঘটন। প্রাথমিক ভাবে পুলিশ ও চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, অ্যাসিড নয়, অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা গিয়েছেন নদিয়ার বেতাইয়ের বছর ত্রিশের ওই তরুণী।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, শনিবার রাত বারোটা নাগাদ ওই তরুণীর গোঙানি শুনতে পান তাঁর ভাই ও পড়শিরা। তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে। রবিবার দুপুরে সেখানেই মারা যান তিনি। ঘটনার পরে মৃতার কাকা পড়শি সুধীর বিশ্বাস-সহ চার জনের নামে পুলিশের কাছে খুনের মামলা রুজু করেছেন। জেলার পুলিশ সুপার শীষরাম ঝাঝারিয়া বলেন, ‘‘প্রাথমিক ভাবে এটা অ্যাসিডের ঘটনা নয় বলেই মনে হচ্ছে। প্রয়োজনে ফরেন্সিক দলের সাহায্য নেওয়া হবে।’’

পড়শি সুধীরের বিরুদ্ধে অভিযোগ এই প্রথম নয়। গত ৫ জুলাই মূক ও বধির ওই তরুণীকে সুধীর ধর্ষণ করেছে বলে মৃতার ভাই ১২ জুলাই পুলিশের কাছে অভিযোগ জানান। ঘটনার পর থেকেই সুধীর পলাতক। কিন্তু অভিযোগ জানাতে সাত দিন সময় লাগল কেন?

স্থানীয় সূত্রে খবর, গ্রামে দুই পক্ষকে নিয়ে সালিশি সভায় বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়। প্রথমে ওই তরুণীর পরিবার পাঁচ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করে। কিন্তু অভিযুক্ত সুধীর ধর্ষণের কথা কবুল করে তিন কাঠা জমি ও নগদ চল্লিশ হাজার টাকা দিয়ে বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়ার অনুরোধ করেন।

পুলিশ জানিয়েছে, ওই তরুণীর পরিবার তাতে রাজিও হয়। কিন্তু ১২ জুলাই সকাল থেকে সুধীর বেপাত্তা হয়ে যায়। তারপরেই ওই পরিবার থানায় এসে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করে। মৃতার ভাইয়ের অভিযোগ, থানায় বিষয়টি জানানোর পর থেকেই অভিযুক্তের পরিবার ওই তরুণীকে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছিল। এ দিন ওরাই সেই কাণ্ড করেছে।

জেলা পুলিশের এক কর্তা জানান, সুধীরের খোঁজ চলছে। তবে মৃত্যুর কারণ নিয়ে কিছু ধন্দ রয়েছে। মৃতার ভাই জানান, তিনি নিজে তাঁর দিদিকে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় দেখেছেন। আবার তিনিই অভিযোগ করেছেন, অ্যাসিড ছুড়ে ওই তরুণীকে খুন করা হয়েছে। অথচ যে ঘরে ওই তরুণী ছিলেন সেই ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ ছিল। ফলে অ্যাসিড কী ভাবে ছোড়া হল তা নিয়ে প্রশ্ন থাকছে। আবার যে ভাবে গলা থেকে পা পর্যন্ত ৮০% শতাংশ পুড়ে গিয়েছে তা দেখেই মনে হচ্ছে এটা কোনও ভাবেই অ্যাসিড নয়, অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন ওই তরুণী। ময়নাতদন্তের রিপোর্টেই অনেক বিষয় স্পষ্ট হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Mysteries death deaf and dumb
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE