মৃত দম্পতি। —নিজস্ব চিত্র।
বিজেপি কর্মী দম্পতির রহস্যমৃত্যুকে ঘিরে উত্তপ্ত দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলি। মঙ্গলবার সকালে কুলতলির কাঁকসা গ্রামে ওই দম্পতির বাড়ি থেকেই উদ্ধার হয়েছে তাঁদের মৃতদেহ। এলাকাকে বিজেপি-শূন্য করার লক্ষ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনে দলের স্থানীয় প্রার্থীকে এবং দলের বুথ সভাপতিকে খুন করেছে তৃণমূল— অভিযোগ বিজেপির। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব সে অভিযোগ পুরোপুরি নস্যাৎ করছেন। তবে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তোপ দাগতে শুরু করেছেন।
বিজেপির তরফে জানানো হয়েছে যে, ২০১৮ সালের ভোটে কুলতলি বিধানসভা এলাকার কুন্দখালি-গোদাবর পঞ্চায়েতে দলের প্রার্থী হয়েছিলেন শকুন্তলা হালদার (৩২)। তাঁর স্বামী ভীমচন্দ্র হালদার (৩৭) ছিলেন বিজেপির স্থানীয় বুথ কমিটির সভাপতি। সোমবার রাতে তাঁদের বাড়িতে ঢুকে তৃণমূলআশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাঁদের খুন করেছে বলে অভিযোগ বিজেপির।
মঙ্গলবার সকালে ভীমের মৃতদেহ উদ্ধার হয় তাঁর বাড়ির সামনে থেকে। তাঁর স্ত্রী শকুন্তলার মৃতদেহ মেলে ঘরে। স্থানীয়দের একাংশের দাবি, ওঁরা আত্মঘাতী হয়েছেন। তৃণমূলের স্থানীয় নেতৃত্বও সম্পূর্ণ অস্বীকার করছে এই ঘটনার সঙ্গে দলের কোনও যোগের কথা। কিন্তু বিজেপির স্থানীয় কর্মীদের থেকে শুরু করে রাজ্য নেতৃত্ব পর্যন্ত প্রত্যেকের দাবি, ভীম ও শকুন্তলা রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার।
আরও পড়ুন: করোনার ধাক্কা কর্মক্ষেত্রে, লকডাউনের জেরে বেকারত্বের হার বাড়ল ২৩ শতাংশ
আরও পড়ুন: আগে নিজের দেশ, পরে অন্য কেউ, ট্রাম্পের হুঁশিয়ারির পাল্টা রাহুল
এ দিন বিজেপির দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা (পূর্ব) সাংগঠনিক জেলার নেতারা জোড়া মৃত্যুর খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে যান। রাজ্য বিজেপির অন্যতম সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু বলেন, ‘‘এখন করোনার বিরুদ্ধে লড়া ছাড়া আর কোনও কথা কেউ ভাবছেন না পৃথিবীতে। কিন্তু এই পরিস্থিতির মাঝেও পশ্চিমবঙ্গে হিংসা কমছে না। কুলতলিতে আমাদের দলের দুই কর্মীকে ঘরে ঢুকে খুন করা হল। তৃণমূল প্রত্যক্ষ ভাবে এই খুনের সঙ্গে যুক্ত।’’ অবিলম্বে খুনিদের গ্রেফতার করার দাবি তুলেছেন সায়ন্তন। তবে প্রশাসন কোনও পদক্ষেপ করবে কি না, তা নিয়ে সায়ন্তন সন্দেহও প্রকাশ করেছেন এ দিন। তিনি বলেছেন, ‘‘কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে আমরা পশ্চিমবঙ্গের অবস্থার কথা জানাচ্ছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy