বাড়তি বেতন নেবেন না বলে মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে সেই টাকা দান করতে চেয়েছিলেন বাম বিধায়কেরা। কিন্তু বিধানসভা না নবান্ন, কে সেই টাকা নেবে— এই প্রশ্নেই ঘুরপাক খেতে হচ্ছে তাঁদের!
প্রাক্তন বিধায়কদের চিকিৎসা ভাতা এখনও বাড়েনি। সরকারি কর্মীদের মহার্ঘ ভাতা বকেয়া। এই অবস্থায় বিধায়কেরা নিজেদের বেতন বাড়িয়ে নেবেন, এমন সিদ্ধান্ত মানতে নারাজ বামেরা। বিধায়কদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে বেতন জমা পড়ে বলে আলাদা করে বাড়তি বেতন প্রত্যাখ্যানের উপায় নেই। তাঁরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, বাড়তি বেতনের পাঁচ হাজার করে টাকা বাম বিধায়কেরা মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে জমা দিয়ে দেবেন। সেই মতো ৬ বাম বিধায়ক তন্ময় ভট্টাচার্য, নর্মদা রায়, রামশঙ্কর হালদার, সমর হাজরা, নগেন্দ্রনাথ রায় এবং শেখ ইব্রাহিম আলি বুধবার নবান্নে যান দেড় লক্ষ টাকার চেক মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে জমা দিতে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বার্তা নিয়ে পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী তাঁদের জানান, বিধায়কদের চেক দিতে হবে বিধানসভার স্পিকারের কাছে। মুখ্যমন্ত্রী ‘গণতান্ত্রিক সৌজন্য’ দেখিয়েছেন বলে জানিয়ে তন্ময়বাবুরা ফিরে আসেন। ঘটনা হলো, চিঠি লিখে বাড়তি বেতনের টাকা মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে দেওয়ার অনুরোধ স্পিকারের কাছেই প্রথমে জানিয়েছিলেন সুজন চক্রবর্তীরা। কিন্তু তাতে কাজ হয়নি। তাই নিজেরাই ত্রাণ তহবিলে টাকা দিতে নবান্নে যান বাম বিধায়কেরা। নবান্ন ফিরিয়ে দেওয়ার পরে এখন ‘বিকল্প পথ’ ভাবছেন সুজনবাবুরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy