অনুমতি ছাড়া সিবিআই যাতে রাজ্যে তদন্ত করতে না পারে সেই পথে এগোচ্ছে নবান্ন।
দুপুরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন ‘‘সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন চন্দ্রবাবু। আমিও সিবিআই-কে ঢুকতে দেব না।’’ আর রাতেই সেই প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেল। নবান্ন সূত্রে খবর, পশ্চিমবঙ্গেও যাতে অনুমতি ছাড়া তদন্ত বা কোনও সরকারি কাজে সিবিআই ঢুকতে না পারে, সেই পথেই এগোচ্ছে রাজ্য সরকার। তার জন্য ১৯৮৯ সালে বাম আমলে সিবিআই-কে দেওয়া ‘জেনারেল কনসেন্ট’ অর্ডার বাতিল করতে চলেছে নবান্ন। তার পরিবর্তে নিয়ে আসা হচ্ছে ‘প্রায়র কনসেন্ট অর্ডার’।
‘জেনারেল কনসেন্ট অর্ডার’-এর অর্থ, অনুমতি দেওয়াই রয়েছে। কোনও মামলার তদন্তে নতুন করে আর কোনও রাজ্যের অনুমোদনের প্রয়োজন নেই। শুধু জানিয়ে দিলেই চলে। ১৯৮৯ সালে এ রাজ্যের বাম সরকার-সহ অধিকাংশ রাজ্যই সিবিআই-কে সেই ‘জেনারেল কনসেন্ট অর্ডার’ দেয়। সেটা তুলে দিয়ে এবার রাজ্য সরকার ‘প্রায়র কনসেন্ট অর্ডার’ করতে চাইছে। অর্থাৎ, আগাম অনুমতি ছাড়া তদন্ত, জিজ্ঞাসাবাদ, তল্লাশি বা গ্রেফতার করতে পারবে না সিবিআই।
নবান্ন সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই এই মর্মে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্য স্বরাষ্ট্র দফতর থেকে এই বিষয়টি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: অন্ধ্রে ঢুকতে পারবে না সিবিআই, বিজ্ঞপ্তি জারি চন্দ্রবাবুর, সমর্থন করলেন মমতা
আরও পড়ুন: ‘সিবিআই স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে রাজ্যের ব্যাপারে নাক গলায় না’
তবে আইনজ্ঞদের মতে, রাজ্যে সারদা, রোজভ্যালি-সহ বিভিন্ন চিট ফান্ড কেলেঙ্কারি বা নারদ কেলেঙ্কারির মতো তদন্ত সুপ্রিম কোর্ট বা হাই কোর্টের নির্দেশে করছে সিবিআই। ফলে এই সব মামলার তদন্ত প্রক্রিয়ায় কোনও প্রভাব পড়বে না বলেই মনে করছেন আইনজ্ঞরা।
বাংলার রাজনীতি, বাংলার শিক্ষা, বাংলার অর্থনীতি, বাংলার সংস্কৃতি, বাংলার স্বাস্থ্য, বাংলার আবহাওয়া -পশ্চিমবঙ্গের সব টাটকা খবরআমাদের রাজ্য বিভাগে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy