এসএমএইচ মির্জা। —ফাইল চিত্র।
টানা আট ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পরে সিবিআই বৃহস্পতিবার জানিয়েছিল, পুলিশকর্তা এসএমএস মির্জা তাদের তদন্তে সহযোগিতা করছেন। কার কার হয়ে তিনি টাকা নিতেন, সেটাই ছিল সে-দিনের জিজ্ঞাসাবাদ পর্বের অন্যতম মূল প্রশ্ন। সোমবার আরও এক দফা জিজ্ঞাসাবাদের পরে সিবিআই জানাচ্ছে, ২০১৪ সালে বর্ধমানের পুলিশ সুপার থাকাকালীন শাসক দলের কিছু নেতা ও সাংসদের হয়ে বিভিন্ন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন মির্জা।
নারদ স্টিং অপারেশনের ভিডিয়ো ফুটেজে ছদ্মবেশী সাংবাদিক ম্যাথু স্যামুয়েলের কাছ থেকে মির্জাকে টাকা নিতে দেখা যায়। অভিযোগ, বিভিন্ন ব্যবসায়ী ও শিল্পপতির টাকা মির্জার সরকারি বাসভবনে পৌঁছে দেওয়া হত। মির্জার মাধ্যমে সেই টাকা পৌঁছত শাসক দলের কিছু নেতা-মন্ত্রীর কাছে। মির্জা এখন সাসপেনশনে রয়েছেন। এ দিন নিজাম প্যালেসে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। তাদের দাবি, এই পর্বে দু’দিনের বিভিন্ন প্রশ্নের মুখে ওই ঘুষ চক্রের বিষয়ে সব কিছুই স্বীকার করেছেন মির্জা।
সিবিআইয়ের এক কর্তা জানান, মির্জাকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে। মির্জার লিখিত বয়ান চার্জশিটে রাখা হবে। চার্জশিটের সঙ্গে নারদ-কাণ্ডে জড়িত নেতা-মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রমাণও জমা দেওয়া হতে পারে। মির্জাকে পরে মূল সাক্ষী হিসেবে ব্যবহার করতে পারে সিবিআই।
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy