বিশ্বভারতীর প্রথম মহিলা উপাচার্য সবুজকলি সেন ‘অস্থায়ী’ হলেও তাঁকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নির্দেশ, অবিলম্বে বিশ্বভারতীর সমস্ত অনিয়ম দূর করতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি পি কে মিত্র শুধু নন, কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন সচিব সুব্রহ্মণ্যমও এক বৈঠকে উপাচার্যের নেতৃত্বে আসা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিদলকে এই নির্দেশ দিয়েছেন। ওই বৈঠকে যুগ্ম-সচিব ঈশিতা রায়, উপসচিব সুরত সিংহ প্রমুখ ছিলেন। বৈঠকের সিদ্ধান্ত, কেন্দ্রীয় সরকার ক্যাস (সেন্ট্রাল অ্যাডভান্সমেন্ট স্কিম) সম্পর্কে, অর্থাৎ শিক্ষক নিয়োগের নীতিতে অনেক পরিবর্তন আনার কথা ভাবছে। কিন্তু তার জন্য অপেক্ষা না করে আপাতত বিশ্বভারতীর প্রায় ২০০ জন কর্মীর পদোন্নতি এবং প্রায় ১০০ জনের স্থায়ীকরণের কাজটি করতে হবে।
এ ব্যাপারে আইনগত দিকটি জানতে চান উপাচার্য। অর্থাৎ, নির্বাচন কমিটি গঠন না করে অস্থায়ী উপাচার্য এমন সিদ্ধান্ত নিতে পারেন কি না। সচিব তাঁকে আইনি পরামর্শ নিতে বলেছেন। ঠিক হয়েছে, অধ্যাপক স্তরে এখনই না হলেও অ্যাসোসিয়েট অধ্যাপকদের ক্ষেত্রে পদপূরণের কাজ শুরু হতে পারে। দ্বিতীয়ত, উপাচার্য অবিলম্বে কর্মসমিতির বৈঠক ডেকে নতুন সার্চ কমিটি গঠনে উদ্যোগী হবেন। ১৩ জনের কর্মসমিতি একজনকে নির্বাচন করবে। এপ্রিলে বিশ্বভারতীর কোর্টের বৈঠক ডেকে সার্চ কমিটির আর এক প্রতিনিধি বাছাই করা হবে। প্রধানমন্ত্রীর একজন প্রতিনিধি, লোকসভার দু’জন সদস্য, রাজ্যসভার এক জন সদস্য, রাজ্যপালের একজন প্রতিনিধি মনোনীত হবেন। রাষ্ট্রপতির প্রতিনিধি ইতিমধ্যেই আছেন। ৩০ মার্চের মধ্যে নতুন উপাচার্যের জন্য আবেদনপত্র চেয়ে বিজ্ঞাপন দেওয়া হবে।
বিশ্বভারতীর ৫৬ জন শিক্ষক-শিক্ষিকার নিয়োগ নিয়ে পুরনো বিতর্ক চলছে। তথ্য অনুসন্ধান কমিটি ৫৬টি নিয়োগ নিয়ে তদন্ত চালিয়ে ২৬ জনের নিয়োগকে অবৈধ বলে জানিয়েছে। এ নিয়ে সিবিআই তদন্ত চলছে বলে কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিচ্ছে না। কিন্তু কেন্দ্র মনে করছে, এ ব্যাপারে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিয়ে অবৈধ শিক্ষকদের বরখাস্ত করা হোক। কারণ, যে কোনও সময়ে জনস্বার্থ মামলা হতে পারে। দু’জন ডেপুটি রেজিস্ট্রারের ‘অবৈধ’ নিয়োগের ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতেও নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। সাংসদ অনুপম হাজরা লোকসভায় বিষয়টি তোলায় মন্ত্রী বলেছেন, তন্ময় নাগ ও প্রশান্ত ঘোষের নিয়োগ অবৈধ। ইউজিসি-র যুগ্মসচিব হিতেন্দ্র ত্রিপাঠীও বৈঠক করে এখনই ব্যবস্থা নিতে বলেছেন। অস্থায়ী হলেও এগুলো সুষ্ঠু ভাবে করাই এখন উপাচার্যের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy