দুর্গাপুরে জনসভায় মোদী।—ছবি পিটিআই।
সংসদে বাজেট পাশ করার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে এসে তাকে লোকসভা নির্বাচনের প্রচারের হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বললেন, , ‘‘শুক্রবার সরকার যে অন্তর্বতী বাজেট পেশ করেছে, তা ট্রেলার। ভোটের পরে পূর্ণাঙ্গ বাজেট করে দেশে উন্নয়নের বন্যা বইয়ে দেব। নতুন ভারতের নতুন ছবি দেখাব।’’
শনিবার দুর্গাপুরে জনসভায় মোদী দাবি করলেন, কৃষক, অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিক, গরিব, মধ্যবিত্ত, যুব, বর্ষীয়ান মানুষ— সমাজের সব অংশের কল্যাণের কথা ভেবেই ওই বাজেট তৈরি করা হয়েছে। ‘সব কা সাথ সব কা বিকাশ’, কী ভাবে করা যায়, তা ওই বাজেটেই স্পষ্ট।
কেন্দ্রের বাজেট নিয়ে প্রতিবাদী সব বিরোধী দলই। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় আগেই বলেছেন, এই বাজেট এক বিরাট ভাঁওতা। বিজেপিকে হটিয়ে নতুন সরকার ক্ষমতায় এসে দেশের আর্থিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে তখন বুঝবে বড় বড় প্রতিশ্রুতি রাখা আদৌ সম্ভব কি না। এ দিনও তিনি মোদীর বাজেট-ব্যাখ্যার সমালোচনা করে বলেন, ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত কর ছাড়ের যে স্বপ্ন মোদী দেখিয়েছেন, আদতে তা ধাপ্পা। কারণ ৫ লক্ষ টাকা করযোগ্য আয় হলে, তবেই ছাড় মিলবে। এটা স্পষ্ট করে না বলে ভুল বোঝানো হচ্ছে।’’
শনিবার মোদী স্বাভাবিক ভাবেই কেন্দ্রীয় বাজেটের পঞ্চমুখে প্রশংসা করেন। সভায় তিনি বলেন, ‘‘চাকরি, শিক্ষা, বয়স্কদের দেখভাল— সব স্তরের মানুষের জন্যই এই বাজেটে ভাবা হয়েছে।’’ প্রধানমন্ত্রী এ দিন দাবি করেন, ‘‘কৃষকের স্থায়ী মঙ্গলের জন্য আমাদের স্পষ্ট নীতি আছে। আমরা বাজেটে প্রধানমন্ত্রী কৃষক সম্মান নিধি যোজনা এনেছি। স্বাধীন ভারতে আর কোনও সরকার কৃষকদের স্বার্থে এত ভাল প্রকল্প চালু করেনি।’’ কংগ্রেস সরকারের সঙ্গে তুলনা করে তিনি বলেন, ‘‘১০ বছরে কংগ্রেস ৫২ হাজার কোটি টাকা ঋণ মকুব করেছিল, বলছে। কিন্তু আমাদের প্রকল্পের ফলে আগামী ১০ বছরে কৃষকদের ৭ লক্ষ ৫০ হাজার কোটি টাকা লাভ হবে। বলুন, কোনটা বেশি?’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy