খাগড়াগড়ে এই বাড়িতেই বিস্ফোরণ হয়েছিল। ফাইল চিত্র।
এ বছরের গোড়ায় দলাই লামার সফরের সময়, বুদ্ধগয়াতে ধারাবাহিক আইইডি বিস্ফোরণের ঘটনায় খাগড়াগড় বোমা বিস্ফোরণের ফেরার অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনাআইএ)।
ধৃত মুস্তাফিজুর ওরফে তুহিন বাংলাদেশি নাগরিক এবং জামাতুল বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষ নেতা। খাগড়াগড় বিস্ফোরণের সময় বীরভূমে ঘাঁটি তৈরি করেছিল সে। শীর্ষ জেএমবি নেতা বোমা মিজানের ঘনিষ্ঠ এই তুহিন। তার সঙ্গে মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা আব্দুল করিমকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। তদন্তকারীদের দাবি, আব্দুল সম্প্রতি জেএমবিতে যোগ দেয়।
দু’জনকেই কেরলের মালাপ্পুরমের একটি শ্রমিক কলোনি থেকে গ্রেফতার করেছেন গোয়ান্দারা। সেখানে তারা শ্রমিক সেজে গা ঢাকা দিয়েছিল।
এনআইএ গোয়েন্দাদের দাবি, বুদ্ধগয়াতে হামলার মাস্টারমাইন্ড বোমা মিজান। তার নির্দেশেই তুহিন মুর্শিদাবাদে তৈরি জেএমবি মডিউলের সদস্যদের দিয়ে এই হামলার ছক করে। মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ান এবং সামশেরগঞ্জে আইইডি তৈরি করে বুদ্ধগয়াতে প্ল্যান্ট করা হয়।
এর আগে কলকাতা পুলিশের এসটিএফ এই মডিউলের সন্ধান পেয়েছিল এবং এই নতুন জেএমবি মডিউলের কয়েকজন প্রথম সারির সদস্যকে গ্রেফতার করেছিল। যারা সরাসরি এই বিস্ফোরণের সঙ্গে যুক্ত ছিল। কিন্তু খাগড়াগড় বিস্ফোরণের পর থেকেই বার বার তুহিনের হদিশ পেতে ব্যর্থ হয় তদন্তকারীরা। এর মধ্যেই বুদ্ধগয়া বিস্ফোরনেও তার নাম ওঠে। শেষ পর্যন্ত কেরলে তার সন্ধান পেল এনআইএ গোয়েন্দারা। তাঁদের আশা তুহিনকে জেরা করে বোমা মিজান এবং সালাউদ্দিন সাহেলিনের মত ফেরার জেএমবি নেতাদের হদিশ পাওয়া যাবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy