Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

জঙ্গির ভিডিও বিচার চায় এনআইএ

আজ, বৃহস্পতিবার পশ্চিমবঙ্গের ওই আইএস সংক্রান্ত মামলায় মুসার বিরুদ্ধে কলকাতার এনআইএ আদালতের চার্জ গঠন করার কথা। চার্জ গঠন মানে বিচার প্রক্রিয়া শুরু।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

সুরবেক বিশ্বাস
কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ জানুয়ারি ২০১৮ ০৪:৪৫
Share: Save:

এমনিতেই গোয়েন্দারা তাকে বিপজ্জনক বলে মনে করেন। গোয়েন্দারা গোড়া থেকেই বলে আসছেন, তার মধ্যে একটা হিংস্র প্রবৃত্তি রয়েছে। কিন্তু জেলের মধ্যে এক কারারক্ষীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে জখম করার পর তার ব্যাপারে আর ঝুঁকি নিতে চাইছেন না গোয়েন্দারা। জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ) চাইছে, সন্দেহভাজন আইএস (ইসলামিক স্টেট) জঙ্গি, বীরভূমের মহম্মদ মসিউদ্দিন ওরফে আবু মুসার বিচার হোক ভিডিও কনফারেন্স-এ। সে ক্ষেত্রে শুনানির সময়ে মুসা আলিপুর সেন্ট্রাল জেলের কুঠুরিতেই বন্দি থাকবে, তাঁকে আদালতে হাজির করানোর ঝুঁকি নিতে হবে না। সেই মতো আদালতে আবেদন করবে এনআইএ।

আজ, বৃহস্পতিবার পশ্চিমবঙ্গের ওই আইএস সংক্রান্ত মামলায় মুসার বিরুদ্ধে কলকাতার এনআইএ আদালতের চার্জ গঠন করার কথা। চার্জ গঠন মানে বিচার প্রক্রিয়া শুরু। কিন্তু বিচার চলাকালীন আদালতে মুসাকে হাজির করানোরটা ঝুঁকিপূর্ণ বলে মনে করছে এনআইএ। সেই জন্য ভিডিও কনফারেন্স-এ বিচারের প্রয়োজনীয় পরিকাঠামোর ব্যবস্থাও এনআইএ করে দিতে রাজি।

গত ৩ ডিসেম্বর ওই জেলে এক কারারক্ষীর মাথায় মুসা প্রথমে পাথর দিয়ে, তার পর ধারালো অস্ত্র দিয়ে পর পর আঘাত করতে থাকে। সেই সময়ে আইএস-এর নামে স্লোগানও দেয় সে। তদন্তে জানা যায়, জেলে বসেই একটি ধাতব বস্তু জোগাড় করে তাতে ধার দিয়ে মুসা ওই ধারালো অস্ত্র তৈরি করেছিল। এনআইএ-র এক আধিকারিক বলেন, ‘‘জেলে যে ওই কাণ্ড ঘটাতে পারে, সে যে আদালতে কিছু করবে না, তার কী গ্যারান্টি?’’

ওই ঘটনার পর এনআইএ-র পক্ষ থেকে কলকাতার পুলিশ কমিশনার, রাজ্য পুলিশের ডিজি ও সিআইডি-র এডিজি-কে জানানো হয়েছে, আদালত, বিচারক ও কৌঁসুলিদের পক্ষে মুসা বেশ ঝুঁকির। সেই মতো ব্যবস্থা নেওয়া হোক।

মুসাকে ২০১৬-র জুলাইয়ে বর্ধমান রেল স্টেশনে ধরা হয়। তদন্তে বেরোয়, আইএসের হয়ে সে ও তার দুই শাগরেদ বীরভূমের লাভপুরে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে খুন ও তাঁর বাড়ির পরিচারিকাকে গণধর্ষণ ও হত্যা করে মোবাইলে ভিডিও রেকর্ডিং করে সামাজিক মাধ্যমে তা প্রচারের পরিকল্পনা করেছিল। কলকাতার মাদার হাউসের সামনে পাশ্চিমি নাগরিকদের উপরেও হামলা চালানোর পরিকল্পনা ছিল মুসার। ইন্টারনেটে তার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল আইএসের ভারতীয় শাখার প্রধান শফি আরমারের। বাংলাদেশের এক সন্দেহভাজন জঙ্গি শরিফুল ইসলাম খালিদ ওরফে আবু সুলেমান দু’বার এই রাজ্যে এসে মুসার সঙ্গে দেখা করে যায়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE