—ফাইল চিত্র।
দল ও প্রশাসন, দুই ক্ষেত্রেই গুরুত্ব বাড়ল বিজেপির কোচবিহারের সাংসদ নিশীথ প্রামাণিকের। একদিকে, তাঁকে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের সংসদীয় কমিটির সদস্য করা হয়েছে। অপরদিকে, ঘাটাল ও উলুবেড়িয়া লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপির সাংগঠনিক দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তাঁকে। দলেরই একটি অংশ অবশ্য মনে করছে, সাংগঠনিক শক্তি মজবুত করতে কোচবিহারেই নিশীথের প্রয়োজন ছিল বেশি। তৃণমূল যখন নিজেদের গুছিয়ে নিতে শুরু করেছে, সেই সময় দক্ষ সংগঠক হিসেবে পরিচিত নিশীথ উলুবেড়িয়া ও ঘাটালে ব্যস্ত থাকলে দলের ক্ষতি হবে। তবে বিজেপি’র নেতৃত্ব বা নিশীথ কেউই এসব বিতর্ককে গুরুত্ব দিচ্ছেন না।
বিজেপি’র কোচবিহার জেলার সভানেত্রী মালতী রাভা বলেন, “সাংসদ নিশীথ তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের সংসদীয় কমিটিতে রয়েছেন। এটা আমাদের কাছে খুশির খবর। এ ছাড়া প্রত্যেক সাংসদকেই দল দুটি করে লোকসভা কেন্দ্র দেখভালের জন্য দিয়েছেন। এখন সাংগঠনিক নির্বাচন প্রক্রিয়া চলছে। ওই প্রক্রিয়ার পরে সব জানা যাবে।” নিশীথ জানিয়েছেন, তিনি যা দায়িত্ব পেয়েছেন তা পালন করবেন। নিশীথের অনুগামী এক বিজেপি নেতার কথায়, “নিশীথ কোচবিহারে সংগঠনের কাজে সবসময়ই থাকবেন। সেই সঙ্গেই অন্য এলাকা দেখবেন। তাতে অসুবিধে হওয়ার কোনও ব্যাপার নেই।”
একসময় নিশীথ যুব তৃণমূলের কোচবিহার জেলার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। সেই সময় দক্ষ সংগঠক হিসেবেই তিনি পরিচিত ছিলেন। তৃণমূলে তীব্র গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের মধ্যেই নিশীথ নিজের শক্তি তুলে ধরতে সমর্থ হন। পরে দল তাঁকে বহিস্কার করলে তিনি বিজেপিতে যোগ দেন। তাঁর সঙ্গে যুব তৃণমূলের একটি বড় অংশও বিজেপিতে যায়।
এ বারে লোকসভায় ৫৪ হাজারের বেশি ভোটে জয়ী হন নিশীথ। এর পরেই কোচবিহারে কোণঠাসা হয়ে পড়েছিল তৃণমূল। কয়েক মাসের মধ্যে ফের গুছিয়ে নিয়ে একের এক গ্রাম পঞ্চায়েত পুনরুদ্ধার করে ফের সক্রিয় হচ্ছে তৃণমূল। এই অবস্থায় নিশীথকে জেলায় দলের সাংগঠনিক দায়িত্ব দেওয়ার দাবি তোলে বিজেপির একটি অংশ। সেই সময় ঘাটাল ও উলুবেড়িয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে নিশীথকে। ওই অংশ মনে করছে, নিশীথ অন্য জেলায় ব্যস্ত থাকলে কোচবিহারে তৃণমূল ফের মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিজেপির এক নেতা অবশ্য বলেন, “বিজেপি ও তৃণমূল এক নয়। দল সব ভেবেচিন্তেই সবাইকে দায়িত্ব দিচ্ছে। ভবিষ্যতের পক্ষে তা ভাল হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy