—ফাইল চিত্র
রাজ্যে বন্যপ্রাণ নিয়ে নানা ধরনের অপরাধের ক্ষেত্রে অপরাধীদের সম্পর্কে তথ্য জোগাড়ে ঘাটতি রয়েছে বলে কার্যত মেনে নিলেন রাজ্যের প্রধান মুখ্য বনপাল নরেন্দ্রকুমার পাণ্ডে। ‘‘এই ধরনের অপরাধ দমনে ইন্টেলিজেন্সের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গত বছর এ বিষয়ে বরাদ্দ বেশি থাকলেও খরচ করা যায়নি। এ বছর বেশি টাকা মেলেনি,’’ বুধবার সল্টলেকের বন ভবনে বন্যপ্রাণ অপরাধ দমনের পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে বলেন ওই বনকর্তা।
খাস কলকাতার গ্যালিফ স্ট্রিটেই যে বেআইনি পশুপাখির কারবার চলছে, তা মেনে নিয়েছেন পাণ্ডে। তিনি বলেন, ‘‘আমি নিজে গ্যালিফ স্ট্রিটে গিয়ে দেখেছি, অলিগলিতে এ-সব ব্যবসা এখনও চলছে।’’
বন দফতর সূত্রের খবর, প্রধান মুখ্য বনপাল ‘ইন্টেলিজেন্স ইনপুট’ বা গোয়েন্দা তথ্যের ঘাটতির কথা বললেও কর্মী-ঘাটতির কথা এড়িয়ে গিয়েছেন। হাতেগোনা কর্মী নিয়ে বিরাট এলাকায় অপরাধ আটকাতে রীতিমতো নাকানিচোবানি খেতে হয়। প্রচুর গোয়েন্দা-তথ্য মিললেও মুষ্টিমেয় কর্মী নিয়ে সেগুলো কাজে লাগানো যাবে কি না, সেই প্রশ্ন তুলেছেন বন দফতরের অনেক আধিকারিক। তাঁদের দাবি, গত কয়েক বছরে বন্যপ্রাণ অপরাধ দমনে অনেকটাই লাগাম টানা গিয়েছে।
কেন্দ্রীয় সংস্থা ওয়াইল্ডলাইফ ক্রাইম কন্ট্রোল ব্যুরো (ডব্লিউসিসিবি)-র আঞ্চলিক ডেপুটি ডিরেক্টর অগ্নি মিত্র এ দিনের অনুষ্ঠানে জানান, গত কয়েক বছর ধরে তাঁরা, বন দফতর এবং সিআইডি মিলে যৌথ অভিযান চালিয়ে কচ্ছপের চোরাকারবার-সহ বন্যপ্রাণ সংক্রান্ত নানান অপরাধ অনেকটাই কমিয়েছেন। তাঁর হিসেব, আগের তুলনায় এখন কচ্ছপের কারবার হচ্ছে ২০ শতাংশ। এ দিনের অনুষ্ঠানে মেদিনীপুরের এডিএফও পূরবী মাহাতো, রাজ্য পুলিশের ইনস্পেক্টর সৌগত ঘোষ, ডব্লিউসিসিবি-র ইনস্পেক্টর অর্ণব বসু, সুদীপ ঘোষ, পাসাং ভুটিয়া-সহ মোট ১৭ জনকে পুরস্কার দেওয়া হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy