মহম্মদবাজারের সভায় অনুব্রত মণ্ডল। রবিবার। নিজস্ব চিত্র
ডেউচা-পাঁচামি কয়লাখনি হলে ১ লক্ষ চাকরি হবে। উপকৃত হবেন এলাকার অদিবাসী মানুষ। কেউ বঞ্চিত হবেন না। কারও ক্ষতি হবে না। মহম্মদবাজারে কর্মিসভায় এসে সেই এমনই বার্তা দিলেন তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল।
কাউকে বঞ্চিত করে নয়, কারও ক্ষতি করে নয়, একশো শতাংশ পুনর্বাসন করে তবেই খনির কাজে হাত দেবে সরকার। বৃহস্পতিবার মহম্মদবাজারের প্রস্তাবিত কয়লাখনি প্রকল্প নিয়ে এলাকার মানুষের সঙ্গে বৈঠকে মুখ্যসচিব সরকারের তরফে এমনই বার্তা দিয়েছিলেন। শুক্রবার থেকে গ্রামে গ্রামে সেই বার্তা প্রচার করছে শাসকদল। অনুব্রতর বার্তার পরে সেই উৎসাহ আরও বাড়ল।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মহম্মদবাজার ব্লকের ৫টি গ্রাম পঞ্চায়েতের ভাঁড়কাটা, হিংলো, সেকেড্ডা, পুরাতনগ্রাম ও ডেউচা সহ ১১টি মৌজায় মাটির নীচে রয়েছে বিশাল কয়লা ভাণ্ডার। সাড়ে তিন হাজার এলাকা জুড়ে থাকা কোলব্লকে সঞ্চিত কয়লার পরিমাণ প্রায় ২১০ কোটি টন। রাজ্য প্রশাসনের পক্ষে জানানো হয়েছে, সবটা একেবারে নয়। কয়লাখনি হবে ধাপে ধাপে। কিন্তু, কী শর্তে এলাকার মানুষকে
প্রস্তাবিত খনি এলাকা থেকে সরানো হবে, তাঁদের পুর্নবাসন, জীবন-জীবিকার কী উপায় সরকার করবে সেটা এখনও তেমন স্পষ্ট নয়। এমন পরিস্থিতিতে রবিবার বিকেলে অনুব্রতর কর্মসংস্থানের ইঙ্গিত যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন দলের নীচুতলার কর্মীরা। যদিও
সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে নয়, অনুব্রত কথাগুলো বলেন সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের উত্তরে।
এ দিন বিকেলে বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে মহম্মদবাজারের টুরকু হাঁসদা শতবার্ষিকী সংস্কৃতি স্মৃতিসদনে শুরু হয় তৃণমূলের বুথভিত্তিক কর্মী সম্মেলন। সম্মেলনে ছিলেন অনুব্রত মণ্ডল, জেলার দুই সহ সভাপতি অভিজিৎ সিংহ ও মলয় মুখোপাধ্যায়, মন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, ব্লক সভাপতি তাপস সিংহ, কার্যকরী সভাপতি কালীপ্রসাদ বন্দ্যোপাধায় সহ প্রতিটি গ্রামের প্রধান, অঞ্চল সভাপতি ও বুথ সভাপতিরা। সভাশেষে মহম্মদবাজারের লোহাবাজার, কাঁইজুলি ও ভুতুরা অঞ্চল থেকে শ’পাঁচেক বিজেপি কর্মী তৃণমূলে যোগদান করেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy