চাষিদের কাছ থেকে ধান কেনার সর্বোচ্চ পরিমাণ কমানোর সিদ্ধান্ত ঘিরে বিতর্ক!
গত শনিবার খাদ্য দফতরে এক বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, এক জন চাষি আগামী ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত সর্বোচ্চ ৪৫ কুইন্টাল ধান সরকারি বিক্রয় কেন্দ্রে বিক্রি করতে পারবেন। এত দিন পর্যন্ত তাঁরা সর্বোচ্চ ৯০ কুইন্টাল ধান বিক্রি করতে পারতেন। বৈঠকের ‘মিনিটস’-এ এই সিদ্ধান্তের কথা লেখা হয়েছে এবং তার প্রতিলিপি জেলাশাসক, জেলা খাদ্য নিয়ামক-সহ পদস্থ কর্তাদের কাছে পাঠানো হয়েছে। ‘মিনিটস’-এ খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এবং সংশ্লিষ্ট চিঠিতে খাদ্য দফতরের কমিশনারের সই রয়েছে। যদিও খাদ্যমন্ত্রীর দাবি, ধান কেনার পরিমাণের রদলবদল নিয়ে আলোচনা হলেও এ ব্যাপারে কোনও সিদ্ধান্তের কথা জেলাস্তরে জানানো হয়নি। তাঁর কথায়, ‘‘এটা ফেক। ফলস চাকরির মতো ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। কোনও কোনও ফড়ে এই কাজ করেছে। যাতে বিভ্রান্ত ছড়ায়।’’ ‘মিনিটস’-এ তাঁর সইও নকল করা হয়েছে বলে জ্যোতিপ্রিয়ের অভিযোগ। এ নিয়ে তদন্ত হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
প্রশাসনের একটি সূত্রের খবর, ধান বিক্রির প্রবণতা দেখেই প্রান্তিক চাষিদের সুবিধার্থে বিক্রির সর্বোচ্চ পরিমাণ কমানোর কথা ভাবা হয়েছিল। ওই সূত্রের মতে, যাঁরা প্রকৃত চাষি, তাঁরা সাধারণ ভাবে এক বারে ৪৫ কুইন্টালের কম ধান বিক্রয় কেন্দ্রে আনেন। অন্য দিকে, ৯০ কুইন্টালের কাছাকাছি ধান যাঁরা আনেন, তাঁদের অনেকেই ফড়ে। ধান বিক্রির সর্বোচ্চ পরিমাণ কমানো ফড়েরাজ নিয়ন্ত্রণে কার্যকরী ভূমিকা নিতে পারে বলে ওই সূত্রের অভিমত। তবে কেউ চাইলে ৪৫ কুইন্টালের বেশি ধান বিক্রি করতে পারবেন। তবে সে ক্ষেত্রে তাঁকে দু’দফায় ধান আনতে হবে। কিন্তু তাতে ফড়েদের সমস্যা বাড়বে বলেই খাদ্য দফতর সূত্রের দাবি।
কিন্তু গোটা বিষয়টাই আলোচনার স্তরে রয়েছে বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী। তাঁর দাবি, সেই অভ্যন্তরীণ আলোচনাকে ব্যবহার করে বাজারে ‘নকল অর্ডার’ ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার জেলা খাদ্য নিয়ামকদের ফোন করে এমন কোনও বিজ্ঞপ্তি না-থাকার কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। খাদ্যসচিব মনোজ আগরওয়াল ব্যক্তিগত কাজে বাইরে রয়েছেন। আজ, শুক্রবার তিনি ফেরার পরেই ‘ভুয়ো বিজ্ঞপ্তি’ কোথা থেকে বেরল, তা নিয়ে সবিস্তার আলোচনা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy