Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

৪৮ ঘণ্টা পার, তবুও খোঁজ নেই অপহৃতের

অভিযোগ, বিধায়কের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। ঢিলও ছোড়া হয় তাঁর দিকে। অভিযোগ, তাড়া খেয়ে থানায় ‘আশ্রয়’ নেন মনিরুল।

নিশানা: ভাঙচুরের পরে তৃণমূল বিধায়ক মনিরুল ইসলামের গাড়ি। শনিবার লাভপুরের কাছে। ছবি: কল্যাণ আচার্য।

নিশানা: ভাঙচুরের পরে তৃণমূল বিধায়ক মনিরুল ইসলামের গাড়ি। শনিবার লাভপুরের কাছে। ছবি: কল্যাণ আচার্য।

অর্ঘ্য ঘোষ 
লাভপুর শেষ আপডেট: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০১:৫৮
Share: Save:

লাভপুরে ঢুকতে গিয়ে ‘গণবিক্ষোভের’ মুখে পড়লেন স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক মনিরুল ইসলাম। অভিযোগ, বিধায়কের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। ঢিলও ছোড়া হয় তাঁর দিকে। অভিযোগ, তাড়া খেয়ে থানায় ‘আশ্রয়’ নেন মনিরুল।

ওই ঘটনার জন্য বিজেপিকে দায়ী করছে শাসক দল। তা মানতে চাননি বিজেপি নেতারা। তাঁদের দাবি, ৪৮ ঘণ্টা পরেও অপহৃতের হদিস না পাওয়ায় গণবিক্ষোভের মুখে পড়েছেন বিধায়ক।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় লাভপুরের বাবুপাড়ায় বিজেপির জেলা কমিটির এক সদস্যের স্কুলশিক্ষিকা মেয়েকে অস্ত্র দেখিয়ে অপহরণ করে তিন দুষ্কৃতী। অভিযোগের আঙুল ওঠে শাসকদলের দিকে। খবর ছড়িয়ে পড়তে রাতেই বিক্ষোভ শুরু হয় লাভপুরে।

স্থানীয় সূত্রে খবর, শনিবার লাভপুরে ঢুকতে গেলে ইন্দাস গ্রামের কাছে মনিরুলের গাড়ি ‘আটকে’ দেন বিক্ষোভকারীদের একাংশ। তা নিয়ে দু’পক্ষের বচসা শুরু হয়। অভিযোগ, বিধায়কের সঙ্গে থাকা দু’টি গাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়। স্থানীয় সূত্রে খবর, পরে অন্য পথে লাভপুর থানায় পৌঁছন মনিরুল। বিকেল সাড়ে ৪টে নাগাদ সেখান থেকে সাহাপাড়ায় এক দলীয় কর্মীর বাড়িতে যান। ফোনে সাহাপাড়ায় আসতে বলেন অপহৃতের বাবাকে। কিন্তু তরুণীর বাবা তাতে রাজি হননি। এর পরে হেঁটে থানার দিকে রওনা দেন মনিরুল। তৃণমূলের অভিযোগ, সেই সময় বিজেপির একটি মিছিল থানায় স্মারকলিপি দিতে যাচ্ছিল। তার মুখোমুখি পড়ে যান মনিরুল। অভিযোগ, মিছিলে শামিল বিজেপি কর্মীরা বিধায়কের দিকে ঢিল ছুড়তে শুরু করেন। তাঁকে তাড়াও করা হয়। কোনও মতে সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে মনিরুল থানায় ‘আশ্রয়’ নেন। তৃণমূলের অভিযোগ, বিজেপি কর্মীরা থানার দিকেও ইট-পাটকেল ছোড়েন।

আরও পড়ুন: ঘর বাঁধতে ঘর ছাড়লেন দুই যুবতী

বিক্ষোভকারীদের তরফে ওই অভিযোগ মানা হয়নি। তাঁদের পাল্টা নালিশ, থানার সামনে পুলিশ ও র‌্যাফ তাঁদের উপরে লাঠি চালায়, কাঁদানে গ্যাসের শেলও ফাটায়।

বিজেপির জেলা কমিটির সদস্য বিশ্বজিৎ মণ্ডল বলেন, ‘‘আমাদের দলের কেউ ঢিল ছোড়েননি। উনি গণবিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন।’’ বিজেপির জেলা সভাপতি রামকৃষ্ণ রায় বলেন, ‘‘ওই বিক্ষোভে আমাদের দলের কোনও ভূমিকা নেই। একটি মেয়েকে দুষ্কৃতীরা অস্ত্র দেখিয়ে তুলে নিয়ে গেল, ৪৮ ঘন্টা পরেও পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করতে পারল না। তাই দলমত নির্বিশেষে সব মানুষ স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে বিক্ষোভে শামিল হয়েছেন৷’’

আরও পড়ুন: কিডনি, চুল না নখ! গুজব মোকাবিলায় চিকিৎসকেরা

এ নিয়ে মনিরুল বলেন, ‘‘আমাদের এক দলীয় কর্মীর বাড়িতে কথা বলতে চেয়েছিলাম মেয়েটির বাবার সঙ্গে। কিন্তু তিনি সেখানে আসার অসুবিধার কথা বলার পরে, আমি-ই তাঁদের বাড়িতে গিয়েছিলাম। মেয়েটির বাবা-মায়ের সঙ্গে কথা বলে সহানুভূতি জানিয়ে এসেছি। ওঁরা মেয়েটিকে উদ্ধারের দাবি জানিয়েছেন। পুলিশের সঙ্গে কথা বলেছি।’’ তাঁর অভিযোগ, ‘‘বিজেপির কিছু দুষ্কৃতী আমার পথ আটকে গাড়ি ভাঙচুর করে। তবে থানার কাছে ঢিল ছোড়ার অভিযোগ ভিত্তিহীন। ছুটে পালানোর কথাও ঠিক নয়৷’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Crime Kidnap BJP Leader TMC
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE