প্রকৃত’ ছাত্ররা কি ছাত্র রাজনীতিতে আগ্রহ হারাচ্ছেন?
তৃণমূল ছাত্র পরিষদের (টিএমসিপি) নতুন যে কমিটি বুধবার প্রকাশিত হয়েছে, তাতে ‘অ-ছাত্র’ মুখের ভিড়ই বেশি। শাসক দলের ছাত্র সংগঠনের বিভিন্ন জেলার সভাপতি বাছাইয়ে দলীয় নেতৃত্ব ‘নতুন ও যোগ্য’দের খুঁজে পাচ্ছেন না বলে স্বীকার করে নিয়েছেন টিএমসিপির রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য। তাঁর বক্তব্য, ‘‘নতুন মুখের খোঁজ চলছে। কিন্তু যোগ্য কাউকে না পাওয়ার ফলেই অনেক জেলাতেই পুরনোদের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতে হচ্ছে। পুরনো যাঁরা থাকছেন, তাঁদের কারও বিরুদ্ধেই তেমন কোনও অভিযোগ নেই।’’
নতুন কমিটি তৈরিতে নতুনদের পাশাপাশি পুরনোদেরও রাখার নির্দেশ দিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা। এমনকী, অ-ছাত্র কেউ যাতে টিএমসিপিতে না থাকেন, সে ব্যাপারেও বারবার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। কিন্তু এ দিনের প্রকাশিত তালিকায় পুরনোরাই সংখ্যাগরিষ্ঠ।
খাস দক্ষিণ কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনা, ঝাড়গ্রাম, জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং, পুরুলিয়া, দক্ষিণ দিনাজপুর, কোচবিহারে কে নতুন সভাপতি হবেন, তা নিয়ে এখনও সিদ্ধান্তই নিতে পারেননি দলীয় নেতৃত্ব। কোচবিহার বাদে এই জেলাগুলিতে আগে যাঁরা দায়িত্বে ছিলেন, আপাতত তাঁরাই কাজ চালাবেন বলে তৃণাঙ্কুর জানান। উত্তর দিনাজপুর, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুর, আলিপুরদুয়ার এবং মধ্য কলকাতার সভাপতি বদল হয়েছে। বাকি জেলাগুলিতে পুরনোদেরই বহাল রাখা হয়েছে বলে তৃণাঙ্কুর জানান। দক্ষিণ কলকাতায় দীর্ঘদিন ধরেই এক মধ্যবয়সী তৃণমূলের ছাত্র সংগঠনের সভাপতি ছিলেন। তিনি কিছু দিন আগে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নেওয়ার পরে এখনও পর্যন্ত নতুন নেতা খুঁজে পাননি তৃণমূল নেতৃত্ব। বর্তমানে সেখানে কার্যকরী সভাপতির দায়িত্ব সামলাচ্ছেন এক স্কুলশিক্ষক। একই ভাবে দীর্ঘদিন ধরে পুরুলিয়ার দায়িত্বে রয়েছেন ত্রিশোর্ধ এক স্কুলশিক্ষক। জলপাইগুড়িতে এক আইনজীবী ছাত্র সভাপতি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy