সোমেন মিত্র। —ফাইল চিত্র।
আলোচনা শুরু হয়েও বাংলায় লোকসভা ভোটে বামেদের সঙ্গে কংগ্রেসের আসন সমঝোতা হয়নি। কিন্তু বামেদের সঙ্গে পাকাপাকি বিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছে বলে মনে করছে না প্রদেশ কংগ্রেস। বরং, তাদের মতে, রাজ্য রাজনীতিতে তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে যে মেরুকরণের আবহ তৈরি হয়েছে, তার প্রেক্ষিতে বাম-কংগ্রেসকে কাছাকাছি থেকেই পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে হবে।
জোট ভেস্তে যাওয়া সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে বুধবার কলকাতা প্রেস ক্লাবের ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র বলেন, ‘‘রাজনীতিতে শেষ কথা বা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত বলে কিছু হয় না। বামেদের সঙ্গে এ বার সমঝোতা হল না বলে পরে আর হবে না, এটা মনে করার কারণ নেই। তবে বামেদের আবার বলব, শুধু ভোটের সময়ে সমঝোতা এবং তার পরে ভুলে গেলে চলবে না! স্থায়ী মিত্র হয়ে রাজ্যে বিজেপি ও তৃণমূলের মোকাবিলা করে একসঙ্গে চলতে হবে।’’ প্রেস ক্লাবে ‘মিট দ্য প্রেস’-এর আসরেই শনিবার মুখোমুখি হওয়ার কথা সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্রের।
লোকসভা ভোটের সঙ্গেই রাজ্যের ৬টি বিধানসভা আসনে উপনির্বাচন ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। বাম বা কংগ্রেস কোনও পক্ষই সেই উপনির্বাচনে এখনও প্রার্থী ঘোষণা করেনি। প্রয়োজনে ওই উপনির্বাচনেও দু’পক্ষে আলোচনা করে প্রার্থী ঠিক করা যেতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন সোমেনবাবু। প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বের ব্যাখ্যা, জোট বা সমঝোতা এখন আর বাম এবং কংগ্রেস, কোনও শিবিরের কাছেই ‘বেছে নেওয়া’র সুযোগ নেই। বরং, দু’পক্ষের সমঝোতাই এখন পারস্পরিক ‘বাধ্যবাধকতা’। সোমেনবাবুরা মনে করছেন, বাংলায় বিজেপির পক্ষে হাওয়া উঠছে, বিষয়টা এমন নয়। ঘটনা হল, তৃণমূলের বিরুদ্ধে অসন্তোষ বাড়ছে। বাম ও কংগ্রেস দুর্বল বলেই মানুষ বিজেপির দিকে ঝুঁকছেন। বাম ও কংগ্রেস একজোট হয়ে আন্দোলন গড়ে তুলতে পারলে বিজেপির পালের হাওয়া আবার কেড়ে নেওয়া সম্ভব।
বামেদের সঙ্গে জোট ছাড়াও মালদহ, মুর্শিদাবাদে আসন জয়ে আত্মবিশ্বাসী কংগ্রেস নেতৃত্ব। তবে ভোট যে ভাবে হচ্ছে এবং কমিশন যা ভূমিকা নিয়েছে, তাতে তাঁরা খুশি নন। ভগবানগোলায় ছাপ্পা ভোটের প্রতিবাদ করতে গিয়ে বুথের বাইরেই কংগ্রেস কর্মী টিয়ারুল শেখের খুন হওয়ার ঘটনার উদাহরণ দিচ্ছেন তাঁরা। সোমেনবাবুরা ফের দাবি করেছেন, মুর্শিদাবাদে শাসক দলের ‘বশংবদ’ জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারকে পদে রেখে সুষ্ঠু ভোট সম্ভব নয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy