বছরের পর বছর একই স্কুলে থাকার দিন কার্যত শেষ হতে চলেছে শিক্ষকদের। এ বার মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের শিক্ষকদের এক স্কুল থেকে অন্য স্কুলে বদলি নীতি চালু করছে রাজ্য সরকার। শুধু জেলার মধ্যেই নয়, রাজ্যের অন্যত্রও বদলি করা যেতে পারে বলে ইঙ্গিত মিলেছে শিক্ষা দফতর সূত্রে। সম্প্রতি এই নির্দেশ জেলায় এসেছে।
বাঁকুড়া জেলা স্কুল পরিদর্শক (মাধ্যমিক) পঙ্কজ সরকার বলেন, “শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের বদলির সিদ্ধান্ত এ বার রাজ্য স্কুল শিক্ষা দফতর নিজে নেবে। আগে এই নিয়ম চালু ছিল না। নতুন নিয়মে যে সব স্কুলে শিক্ষক কম, সেখানে জেলা স্কুল শিক্ষা দফতরের আবেদন মতো অন্য স্কুল থেকে শিক্ষকদের বদলি করে আনতেই পারে স্কুল শিক্ষা দফতর।”
জেলা স্কুল শিক্ষা দফতরের এক কর্তা জানান, কোনও বিশেষ পরিস্থিতিতে শিক্ষকেরা বদলির জন্য আবেদন করলে তখন বদলি করা হতো। এ ছাড়া দু’টি আলাদা স্কুলের শিক্ষক পারস্পরিক বোঝাপড়ায় এক স্কুল থেকে অন্য স্কুলে যেতেন।
জেলা স্কুল শিক্ষা দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলার প্রায় ৪৫০টি মাধ্যমিক স্কুলের মধ্যে ১৮৯টি স্কুলেই প্রয়োজনের তুলনায় বেশি শিক্ষক রয়েছে। আবার বহু স্কুলে ছাত্র-শিক্ষক আনুপাতিক হার বেশ কম। প্রশাসনিক মহলের অনেকের মতে, নতুন নির্দেশিকায় ওই সব স্কুলে শিক্ষকের ঘাটতি পূরণ করা যাবে।
যদিও বামপন্থী শিক্ষক সংগঠন এবিটিএ-এ নেতারা আশঙ্কা প্রকাশ করছেন। এবিটিএ-র বাঁকুড়া সদর মহকুমা সম্পাদক আশিস পান্ডে বলেন, “শিক্ষকের ঘাটতি পূরণ করতে নতুন করে শিক্ষক নিয়োগ করা দরকার।’’ তাঁর অভিযোগ, শিক্ষকেরা সরকারের বিপক্ষে গেলেই হয়তো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে এই নির্দেশিকা দেখিয়ে প্রত্যন্ত এলাকায় বদলি করে দেওয়া হবে।’’ সেই অভিযোগ উড়িয়ে পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির বাঁকুড়া জেলা সভাপতি গৌতম দাস এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “কিছু স্কুলে শিক্ষকের অভাবে পঠনপাঠন ব্যাহত হচ্ছে, অথচ কিছু স্কুলে বাড়তি শিক্ষকেরা বসে রয়েছেন। এই সমস্যা মেটা দরকার।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy