ফাইল চিত্র।
স্টেশনে বসেছিলেন দুই যুবক। আচমকা তাঁরা দেখেন পাশের বৃদ্ধা উঠে গেলেও পড়ে রয়েছে প্লাস্টিকের প্যাকেট। খুলতেই দেখেন সোনার দুল, চেন ও কয়েক হাজার টাকা রয়েছে। ব্যাগ হাতড়ে একটা ফোন নম্বরও পান তাঁরা। টানা ছ’দিন ধরে ফোন করে শনিবার রাতে বৃদ্ধার সঙ্গে যোগাযোগ হয়। রবিবার বর্ধমান স্টেশনে বৃদ্ধাকে ওই প্যাকেটটি ফিরিয়ে দেন ওই দুই যুবক শেখ আসরাফ ও গৌর কেশ।
বর্ধমান শহর ঘেঁষা কামনাড়ার বৃদ্ধা সন্ধ্যা প্রামাণিক বলেন, ‘‘ছেলেরা দেখে না। ট্রেনে, প্ল্যাটফর্মে হাত পেতে ওই টাকা রোজগার করেছি। ছেলে দুটো কিছু নেড়েও দেখেনি। মাংস খাওয়ার জন্য টাকা দিতে গেলাম, সেটাও নিল না। কী বলে যে আর্শীবাদ করব!’’
আউশগ্রামের বাসিন্দা শেখ আসরাফ ও ভাতারের গৌর ঠিকাদারের রোলার চালান। বর্ধমান থেকেই রোজ ট্রেন ধরেন দুই বন্ধু। জানান, গত সোমবার ২ নম্বর প্ল্যাটফর্মে প্যাকেটটি পান তাঁরা। শেখ আসরাফ বলেন, ‘‘প্লাস্টিক হাতড়ে দু’টো নম্বর পাই। সোমবার থেকে টানা ফোন করার পরে শনিবার এক বয়স্ক মহিলা ফোন ধরেন।’’ রবিবার বর্ধমান স্টেশনে আসতে বলা হয় বৃদ্ধাকে।
এ দিন সকালে ওই প্ল্যাটফর্মেই বৃদ্ধাকে ব্যাগ ফিরিয়ে দেন তাঁরা। ফিরতি পথে দুই বন্ধু বলেন, ‘‘গরিবের টাকা নেব, এমন শিক্ষা পাইনি। সততার সঙ্গে জীবনটা কাটাতে চাই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy