পুজোর আগেই জেলার অনুমোদিত বিভিন্ন পুজো কমিটিকে জেলা পুলিশ প্রশাসনের মাধ্যমে ১০ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়া হয়েছে। এ বারে পুজো উদ্যোক্তাদের পাঠান হয়েছে সেফ ড্রাইভ-সেভ লাইফের পাশপাশি পরিবেশ রক্ষার বার্তা-সহ বিভিন্ন হোর্ডিং-ব্যানার। এ ছাড়া রবিবার সকালে জেলার ২৭ টি থানায় ৮ টি করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গানের সিডি পাঠানো হয়েছে, যাতে বিভিন্ন থানা, জেলা সদর, বিভিন্ন পুজো প্যান্ডেল ও জনবহুল জায়গায় বাজানোর জন্য। পঞ্চমীর সন্ধ্যা থেকে সেই গান বাজানোর জন্য থানাগুলিকে ওই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।
যদিও সরকারের গানের এই সিডি বিলির সমালোচনা করেছেন বিরোধীরা। বহরমপুরের সাংসদ তথা প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর কটাক্ষ, ‘‘আগামী বছর পুজো মণ্ডপে দুর্গার প্রতিমার বদলে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের প্রতিমা বসিয়ে দেবে। তাহলেই গল্প শেষ। বাংলা মমতাময় হয়ে যাবে, শারদীয় মমতাময় হয়ে যাবে। এটাই দেখতে বাকি আছে বাঙালির।’’ তাঁর দাবি, শারদীয়ায় বাঙালির নিজস্বতা নেই। লতার বদলে গাইছেন মমতা। মুর্শিদাবাদের বিজেপির সহ সভাপতি শাখারভ সরকার বলেন, ‘‘প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে দল ও নিজের প্রচার করা মুখ্যমন্ত্রীর বৈশিষ্ট্যের মধ্যে পড়ে। গানের সিডি বিলি করে আরও একট উদাহরণ তৈরি করলেন।’’ জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র অশোক দাস অবশ্য বলছেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী রাজ্য জুড়ে যে উন্নয়ন করেছেন তা বিরোধিরা সহ্য করতে পারছেন না। তাই তাঁরা পাগলের মত বকছেন। মুখ্যমন্ত্রীর উন্নয়নের সিডি, সম্প্রীতির সিডি সব জায়গায় বাজবে।’’ তবে সিপিএমের জেলা সম্পাদক মৃগাঙ্ক ভট্টাচার্য্য এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
মমতা বন্দোপাধ্যায়ের কথা ও সুরে গাওয়া বাংলা গানের যে সিডি থানায় পাঠানো হয়েছে, তাতে সাতটি গান রয়েছে। গানগুলি গেয়েছেন ইন্দ্রনীল সেন, লোপামুদ্রা মিত্র ও রূপঙ্কর। জেলা পুলিশের এক আধিকারিক জানান, ‘‘শনিবার রাতেই কলকাতা থেকে ২২২ টি সিডি জেলায় এসেছে। রবিবারই জেলার প্রতিটি থানায় আটটি করে সিডি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। রবিবার সন্ধ্যা থেকেই প্রতিটি মণ্ডপে গান বাজানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’’ আটটি সিডি গোটা থানা এলাকায় হবে কী করে? পুলিশের এক আধিকারিক জানান, প্রয়োজনে থানাগুলি স্থানীয়ভাবে সিডি কপি করে বিলি করে প্রতিটি মণ্ডপে ছড়িয়ে দেবে বাজানোর জন্য।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy