স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।
তাঁর বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাব খারিজের ফলে দীর্ঘক্ষণ স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে ঘিরে বিরোধীরা বিক্ষোভ দেখায়। তুমুল হট্টগোল, চিৎকারের পরে বিধানসভার কক্ষত্যাগ করে বাম ও কংগ্রেস। আর দিনান্তে অধিবেশন শেষে স্পিকার বিরোধীদের এই আচরণকে ‘অসহিষ্ণুতা’ বলেই সমালোচনা করলেন।
বুধবার বিধানসভায় অধিবেশন শুরু হতেই স্পিকারের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাব খারিজের প্রতিবাদ জানায় বাম ও কংগ্রেস বিধায়কেরা। ওয়েলে নেমে গণতন্ত্র হত্যার স্লোগান দিতে থাকেন তাঁরা। কেন বারবার স্পিকার সরকারে পক্ষের হয়ে পক্ষপাত করেন, কেন বিরোধীদের সময় কেটে দেন, তা নিয়ে অভিযোগ জানাতে থাকেন। স্পিকার তখন কোনও ‘জবাব’ না দিলেও অধিবেশনের শেষে বিরোধীশূন্য কক্ষে বলেন, ‘‘কোনও কোনও সদস্য অসহিষ্ণু হয়ে উঠছেন। স্পিকার সবাইকে সন্তুষ্ট করতে পারেন না। তবে তাঁর রুলিং নিয়ে সমালোচনা করাও সমীচীন নয়।’’
চলতি অধিবেশনে বেশ কয়েক বারই বিরোধীদের সঙ্গে স্পিকারের বাদানুবাদ হয়েছে। স্পিকারের পক্ষপাতিত্ব প্রসঙ্গে এ দিন বিধানসভা চত্বরে অম্বেডকর মূর্তির পাদদেশে নকল অধিবেশন করে বাম ও কংগ্রেস। কিছুক্ষণ পরে আবার কক্ষে ফিরে এসে পরিবহণ বাজেটে অংশ নিয়ে স্পিকারকেই ধন্যবাদ জানায় তারা। স্পিকারও তাঁর নিরপেক্ষতা বোঝাতে বলেন, ‘‘বিরোধীদের সব সময়ই অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। তবে ইচ্ছাকৃত ভাবে কারও সময় কেটে দেওয়া হয় না। সময়াভাব থাকে বলে বক্তব্য শেষ করতে বলা হয়।’’ যদিও কংগ্রেস সচেতক মনোজ চক্রবর্তীর বক্তব্য, ‘‘বিধানসভায় সচিবালয় থেকে চিঠি পাঠিয়ে বলা হয়েছে, অনাস্থা নিয়ে আলোচনার জন্য
যথেষ্ট সময় নেই। এমন চিঠি দেখে ঘোড়াও হাসবে।’’
স্পিকারের সঙ্গে বিরোধীদের বাদানুবাদের প্রসঙ্গে পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও বলেন, ‘‘কথায় কথায় স্পিকারকে চ্যালেঞ্জ করায় বিধানসভার মর্যাদা গৌরবান্বিত হয় না। বারবার কক্ষত্যাগ না করে বিতর্কে অংশ নিন। নিজের নিজের বিধানসভা কেন্দ্রের মানুষের কথা বলুন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy