Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

বঙ্গে মীরার সঙ্গে ভিন্ পাতে তিন

এআইসিসি-র তরফে প্রথমে গুলাম নবি আজাদ এবং পরে রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থীর প্রচার-সফরের ভারপ্রাপ্ত নেতা মণীশ চতুর্বেদী বৃহস্পতিবার রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতাকে মীরার প্রচারে আসার কথা জানান।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ জুন ২০১৭ ০২:৫৮
Share: Save:

বিরোধী জোটের সম্মিলিত প্রার্থী তিনি। সর্বভারতীয় ও আঞ্চলিক মিলিয়ে মোট ১৭টি দলের সাংসদ-বিধায়কেরা ভোট দেবেন তাঁকেই। কিন্তু বঙ্গ সফরে এসে শাসক ও বিরোধী পক্ষের তিন দলের সঙ্গে আলাদা বৈঠক করতে হবে রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী মীরা কুমারকে! পরে তাঁর সাংবাদিক সম্মেলনে অবশ্য মুখ্যমন্ত্রী ও বিরোধী নেতাদের একত্রে দেখা যেতে পারে।

রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের প্রচারে আগামী ৪ জুলাই ভুবনেশ্বর থেকে কলকাতা আসছেন লোকসভার প্রাক্তন স্পিকার। তাঁর সঙ্গে থাকবেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পবন বনসল এবং মীরার ছেলে। বিরোধী জোটের প্রার্থী হলেও প্রধান বিরোধী হিসাবে কংগ্রেসই মীরার প্রচার আয়োজনের যাবতীয় দায়িত্বে। এআইসিসি-র তরফে প্রথমে গুলাম নবি আজাদ এবং পরে রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থীর প্রচার-সফরের ভারপ্রাপ্ত নেতা মণীশ চতুর্বেদী বৃহস্পতিবার রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতাকে মীরার প্রচারে আসার কথা জানান। বিরোধী দলনেতা যোগাযোগ করেন পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তীর সঙ্গে। পার্থবাবু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলে জানিয়ে দেন, তাঁদের পরিষদীয় দল মীরার সঙ্গে আলাদাই বৈঠক করবে। সেইমতো ঠিক হয়েছে, মঙ্গলবার মীরার সঙ্গে বিধানসভার কাউন্সিল চেম্বারে প্রথম বৈঠক হবে তৃণমূল পরিষদীয় দলের। তার পরে ৪৬ নম্বর কক্ষে দু’দফায় তাঁর মুখোমুখি হবেন কংগ্রেস ও বাম বিধায়কেরা। গুলাম নবিকেও ওই আলাদা বৈঠকের সূচি জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। সে দিনই সন্ধ্যায় ফিরে যাওয়ার কথা মীরার।

বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান এ দিন বলেন, ‘‘বিরোধী দলগুলির সম্মিলিত প্রার্থী হিসাবে মীরা প্রচারে আসছেন। তাঁর সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে কোনও দলেরই অনড় মনোভাব ছিল না। তবে তারা আলাদা বসতে চেয়েছে বলেই আলাদা বৈঠকের ব্যবস্থা হয়েছে।’’ বাম পরিষদীয় নেতৃত্বের বক্তব্য, কংগ্রেসের সঙ্গে একযোগে বৈঠক করতে শরিক দলের কারও আপত্তি থাকতে পারে। আবার তৃণমূল শিবিরের যুক্তি, মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে শাসক দলের বিধায়কেরা মীরাকে আলাদা করেই ‘আপ্যায়ন’ করতে চান। পরিস্থিতির প্রয়োজনে অবশ্য মীরার সঙ্গে তিনটি বৈঠকেই হাজির থাকতে হতে পারে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী ও বিরোধী দলনেতা মান্নানকে। যদিও বিধায়কদের একাংশের প্রশ্ন, সম্মিলিত প্রার্থী ঠিক করার পরে আলাদা প্রচার-বৈঠকের কী তাৎপর্য?

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE