Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

বিধানসভাতেও এ বার অস্ত্র ‘মুখ্যমন্ত্রীকে বলছি’

তৃণমূলের ‘দিদিকে বলো’র জবাবে সিপিএম এবং কংগ্রেস পাল্টা শুরু করেছে ‘দিদিকে বলছি’।

বিধানসভা ভবন।

বিধানসভা ভবন।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ অগস্ট ২০১৯ ০১:৫০
Share: Save:

ফেসবুক, টুইটারের জগতের বাইরে এ বার বিধানসভার কক্ষেও দুই বিরোধী দলের হাতিয়ার হতে চলেছে ‘মুখ্যমন্ত্রীকে বলছি’। আইনশৃঙ্খলা, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, শিল্প-সহ নানা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বিধানসভার অধিবেশনে মুখ্যমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে একের পর এক প্রশ্ন তুলে সরকারকে বেঁধার কৌশল নিচ্ছে বিরোধীরা।

তৃণমূলের ‘দিদিকে বলো’র জবাবে সিপিএম এবং কংগ্রেস পাল্টা শুরু করেছে ‘দিদিকে বলছি’। তাকেই এ বার নিয়ে যাওয়া হবে আগামী ২৬ অগস্ট থেকে শুরু হওয়া বিধানসভার অধিবেশনে। প্রাথমিক ভাবে বাম ও কংগ্রেস শিবিরের পরিকল্পনা, যে দিন যে ভাবে সম্ভব হবে, ‘মুখ্যমন্ত্রীকে বলছি’র প্ল্যাকার্ড ঝুলিয়ে অধিবেশনে ঢোকার চেষ্টা করবেন বিরোধী বিধায়কেরা। সেখানে লেখা থাকবে রাজ্যের নানা প্রাসঙ্গিক ও জ্বলন্ত সমস্যার কথা। মুখেও সরব হবেন তাঁরা। তাঁদের লক্ষ্য, লোকসভা ভোটে শাসক দল ধাক্কা খাওয়ার পরে এখন জনসংযোগ ফিরে পেতে ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচি নেওয়া হলেও রাজ্যের মানুষের বহু সমস্যাই উপেক্ষিত থেকে গিয়েছে— এই অভিযোগ বিধানসভার অন্দরে তুলে ধরা। সিপিএমের এক বিধায়কের কথায়, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী প্রতিদিন বিধানসভায় থাকবেন, এমন তো হবে না। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে প্রশ্নগুলো আমরা তুলে যাব।’’

বস্তুত, তৃণমূলের জনসংযোগ কর্মসূচিকে পাল্টা আক্রমণ করেই এখন পরপর নানা কৌশল সাজাচ্ছে সিপিএম। কল্যাণীতে রাতের অন্ধকারে পার্শ্বশিক্ষকদের উপরে পুলিশি লাঠিচালনার ঘটনার প্রেক্ষিতে বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী সোমবারই মুখ্যমন্ত্রীকে কড়া ভাষায় একটি ‘খোলা চিঠি’ দিয়েছেন। যারও শিরোনাম ‘মুখ্যমন্ত্রীকেই বলছি’। চিঠিতে সুজনবাবু লিখেছেন, ‘এ কীসের রাজত্ব চলছে পশ্চিমবাংলায়? নবান্নে কেউ প্রতিবাদ জানাতে পারবেন না। যেন যুদ্ধক্ষেত্র! বিকাশ ভবন-সহ বিধাননগরের প্রশাসনিক এলাকা জুড়ে মিছিল, বিক্ষোভের অনুমতি নেই। প্রেস ক্লাবের আশেপাশেও অবস্থান করা যাবে না! কেন?’’ মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তাঁর দাবি, ‘আপনার নির্দেশ, আধিকারিকদের অতিভক্তি বা অধুনা পরামর্শদাতার পরামর্শ— যেটাই হোক, গণতান্ত্রিক আন্দোলনে পুলিশি দমন-পীড়ন বন্ধ করুন’। মুখ্যমন্ত্রীকে যে গুচ্ছ গুচ্ছ চিঠি দিয়েও উত্তর মেলেনি, তার কিছু বেছে নিয়ে ‘মুখ্যমন্ত্রীকেই বলছি’ নাম দিয়ে একটি সংকলনও প্রকাশ করতে চলেছে বাম শিবির।

বিধানসভার ভিতরে-বাইরে এখন বোঝাপড়া রেখেই চলেন বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান ও বাম পরিষদীয় নেতা। এ বার অধিবেশনেও তা-ই হতে চলেছে। কংগ্রেসের সচেতক মনোজ চক্রবর্তীর কথায়, ‘‘যৌথ ভাবেই আমাদের আন্দোলন চলবে।’’ অধিবেশনের আগে সর্বদল ও কার্য উপদেষ্টা (বি এ) কমিটির বৈঠক আছে কাল, বুধবার। সেখানে কার্যসূচির আন্দাজ পেয়েই বিরোধীদের কৌশল চূড়ান্ত হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

West Bengal Legislative Assembly Mamata Banerjee
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE