সেই জমি: হরিদেবপুরের এই জমি থেকেই উদ্ধার হয় ‘মেডিক্যাল বর্জ্য।’ ছবি: রণজিৎ নন্দী
ফাঁকা জমিতে শুধু ডেঙ্গি নয়! অন্য ‘বিপদ’ও লুকিয়ে থাকতে পারে। রবিবারে হরিদেবপুরের ঘটনার পরে এমনটাই মনে করছেন কলকাতা পুরসভার কাউন্সিলরদের একাংশ। ফলে ওয়ার্ডে পড়ে থাকা ফাঁকা জমিতে আরও নজরদারির প্রয়োজনের বিষয়টিও স্বীকার করে নিচ্ছেন তাঁরা।
প্রসঙ্গত, ফাঁকা জমি যে ডেঙ্গির জীবাণুবহনকারী মশা এডিস ইজিপ্টাইয়ের আঁতুড়ঘর হয়ে উঠছে, তা নিয়ে পুরসভার স্বাস্থ্য দফতর একাধিকবার সতর্কতা জারি করেছে। ওয়ার্ডে কোথায়-কোথায় ফাঁকা জমি রয়েছে, তা নিয়ে তালিকাও প্রস্তুত করতে বলেছে। কিন্তু সেই ফাঁকা জমি থেকে উদ্ধার করা প্যাকেট নিয়ে বিতর্কের পরে সতর্ক কাউন্সিলরেরাও। যদিও কথা বলার সময়ে তাঁরা জানতেন না, ওই প্যাকেটে মেডিক্যাল বর্জ্য রয়েছে। হরিদেবপুরের রাজা রামমোহন সরণি এলাকায় যেখানে প্যাকেট উদ্ধার হয়েছে, তা পুরসভার ১২২ নম্বর ওয়ার্ডের অধীনে। স্থানীয় কাউন্সিলর সোমা চক্রবর্তী বলেন, ‘‘এতদিন ডেঙ্গির কারণে ফাঁকা জমি পরিষ্কার করতাম। জমির মালিককে ডেকে বলতাম। কিন্তু এ বার তো দেখছি শুধু ডেঙ্গিই নয়, অন্য বিপদও সেখানে লুকিয়ে রয়েছে! ওয়ার্ডে ফাঁকা যত জমি রয়েছে, সেখানে নজরদারি তো বাড়াতেই হবে।’’ আর এক কাউন্সিলর বলেন, ‘‘ফাঁকা জমির উপরে নজরদারি করা অনেক সময়ই অসুবিধার। কিন্তু এর পরে আরও সতর্ক তো হতেই হবে। এ ঘটনা তো একদম অপ্রত্যাশিত!’’ পুরসভার স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্তা বলেন, ‘‘আমরা অনেক দিন ধরেই ফাঁকা জমির উপর নজর রাখতে বলছিলাম কাউন্সিলরদের। কারণ, এমন জমিতে জমা জঞ্জাল, জল মশার আদর্শ আঁতুড়ঘর। কিন্তু এ তো দেখছি একদম আলাদা ঘটনা!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy