অমিতের সভায় বিজেপি কর্মী-সমর্থকেরা। ছবি: পিটিআই।
মেদিনীপুরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভার দুর্ঘটনার আতঙ্কের রেশ অব্যাহত থাকল মেয়ো রোডে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহর সভাতেও!
শাহ শনিবার কলকাতার এই সভামঞ্চে পৌঁছনোর অনেক আগে থেকেই মেয়ো রোডে ভিড় বাড়ছিল। কলকাতার পাশাপাশি বিভিন্ন জেলা থেকে বাসবোঝাই মানুষ মেয়ো রোডে পৌঁছতে শুরু করায় বারবার মঞ্চ থেকে ঘোষণা হচ্ছিল, ‘‘সামনের দিকে ঠেলবেন না। যে যেখানে আছেন, বসে পড়ুন। যে কোনও মুহূর্তে দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে।’’
পার্ক স্ট্রিট থেকে মেয়ো রোডে ঢোকার মুখে গার্ড রেল দিয়ে ভিড় সামলাচ্ছিল পুলিশ। কিন্তু মানুষ সেই গার্ড রেল পেরিয়ে মেয়ো রোডে ঢোকার চেষ্টা করছে দেখে পুলিশের কাছে মঞ্চ থেকে অনুরোধ করা হচ্ছিল, ‘‘দয়া করে একেবারে শেষের গার্ড রেলটা খুলে দিন। স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে মানুষকে আসতে দিন। না হলে দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে।’’ সাউন্ড বক্স রাখার জন্য যে লোহার কাঠামো তৈরি হয়েছিল, তার উপরেও অনেকেই উঠে পড়ছিলেন। দুর্ঘটনার আশঙ্কায় তাঁদেরও সেখান থেকে নেমে পড়তে বারবার অনুরোধ শোনা গেল শাহর সভামঞ্চ থেকে।
তেমন কোনও দুর্ঘটনা অবশ্য ঘটেনি। তবে ঝাঁ ঝাঁ রোদে দীর্ঘক্ষণ থাকায় অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। শাহর বক্তৃতা চলাকালীন অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়লেও প্রাথমিক চিকিৎসার কোনও ব্যবস্থা চোখে পড়েনি। ইতিউতি জলের পাউচ থেকে জল ছিটিয়ে অসুস্থদের সুস্থ করার
চেষ্টা করেন পাশে থাকা সমর্থকেরা। সভার আয়োজক বিজেপি যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি দেব়জিৎ সরকার আগে জানিয়েছিলেন, আপৎকালীন ব্যবস্থা হিসেবে সভা চত্বরে আটটি অ্যাম্বুল্যান্স এবং চারটি স্বাস্থ্য শিবির থাকবে। কিন্তু তার একটিও সভা চলাকালীন চোখে পড়েনি।
বরং সভাশেষের পরে মঞ্চ থেকে ঘোষণা শুরু হয়, ‘মঞ্চের পিছন দিকে অ্যাম্বুল্যান্সটা নিয়ে আসুন।’’ তত ক্ষণে ভিড় ঠেলে অনেককেই ছায়ায় নিয়ে গিয়েছেন স্বেচ্ছাসেবকেরা!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy