Paresh Adhikari
লোকসভা নির্বাচনে হারলেও তৃণমূলে ‘গুরুত্ব’ পাচ্ছেন রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী পরেশ অধিকারী। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রস্তাবিত নতুন জেলা কমিটিতে গুরুত্বপূর্ণ সাংগঠনিক পদ পেতে চলেছেন পরেশ। চ্যাংরাবান্ধা ডেভেলপমেন্ট অথরিটির চেয়ারম্যান হিসেবেও তাঁকে ইতিমধ্যে পুনর্বহাল করা হয়েছে।
লোকসভা ভোটে লড়তে প্রার্থী ঘোষণার পরেই পরেশ অথরিটির দায়িত্ব থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন। ভোটে হারার পরেও ফের পুরনো পদে পুনর্বহাল হওয়ায় নতুন উদ্যমে নেমেছেন পরেশ। সোমবার অথরিটির বৈঠক ডাকা হয়েছে। লোকসভা ভোটের পর জেলা সভাপতি বদল করা হয়। ভেঙে দেওয়া হয় পুরনো কমিটি। সেসময় দলে জেলা কমিটিতে সহ সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন তিনি।
রাজনৈতিক মহলের অন্দরে অবশ্য এ নিয়ে বিস্তর চর্চা শুরু হয়েছে। কোচবিহার আসনে লোকসভা ভোটে তৃণমূল প্রার্থী পরেশ পরাজিত হন। আসনটিতে জয়ী হন বিজেপির নিশীথ প্রামাণিক। তৃণমূল সূত্রে খবর, বিজেপির জয়ের পাশাপাশি সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধি নিয়ে চিন্তা বেড়েছে তৃণমূল শিবিরে। এই পরিস্থিতিতে কাউকেই ‘বসিয়ে’ রাখতে চাইছেন না রাজ্য নেতৃত্ব। পরেশের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতার কথা মাথায় রেখে সাংগঠনিক কাজের দায়িত্বের পাশাপাশি সরকারিভাবে উন্নয়নের কাজেও যুক্ত রাখার বিষয়টিতে সেজন্য সিলমোহর দেওয়া হয়। তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি বিনয়কৃষ্ণ বর্মণ বলেন, “নতুন পূর্ণাঙ্গ জেলা কমিটি ঘোষণা হলে তিনি (পরেশ অধিকারী) একটি দায়িত্ব পেতেই পারেন।” চ্যাংরাবান্ধা ডেভলপমেন্ট অথরিটির চেয়ারম্যান হিসেবে পুনর্বহালের ব্যাপারে পরেশ বলেন, “লোকসভা ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য অথরিটির পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলাম। জুনে আমাকে ওই পদে পুনর্বহাল করা হয়। মুখ্যমন্ত্রী আমার প্রতি আস্থা রেখেছেন। পুরোপুরি নিষ্ঠার সঙ্গেই ওই দায়িত্বও পালন করতে চাইছি।” সোমবার মেখলিগঞ্জ সার্কিট হাউসে অথরিটির বৈঠক বসছে। এলাকার উন্নয়ন, সবুজায়নের পাশাপাশি আয়ের উৎস কী হতে পারে তা নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে।
বিরোধীরা অবশ্য পরেশের পুনর্বহালে কটাক্ষ করেছেন। বিজেপির কোচবিহার জেলা সভানেত্রী মালতী রাভা বলেন, “যার প্রতি জনগণ আস্থা রাখেনি তাকে অথরিটির চেয়ারম্যান করে উন্নয়ন হবেনা।’’ সিপিএমের জেলা সম্পাদক অনন্ত রায় বলেন, “সবটাই হল তৃণমূলে নাম লেখানোর পুরস্কার।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy