পার্থ চট্টোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।
দু’দফাতেও আসন ভরেনি স্নাতকের। তাই শূন্য আসন পূরণে ফের কলেজগুলিকে সুযোগ দিতে চায় রাজ্য সরকার। শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় সোমবার জানান, যে-সব কলেজে আসন ভর্তি হয়নি, তারা সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমে আবেদন করলে সরকার ফের ভর্তির অনুমতি ও সময় দেবে। যাদবপুর ও প্রেসিডেন্সিতে খালি আসন দ্রুত পূরণের কথাও বলেন মন্ত্রী।
তৃতীয় দফায় ক’দিন বাড়তি সময় মিলবে, তা জানা যায়নি। কলেজের অধ্যক্ষদের চিন্তা, বাড়তি সময় নিয়ে ছাত্রছাত্রী ভর্তি হয়তো করা যাবে, কিন্তু পঠনপাঠনের কী হবে! কলকাতা-সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন কলেজগুলিতে স্নাতকে প্রথম দফায় ভর্তি শেষ হয় ৬ জুলাই। কিন্তু ভর্তিকে কেন্দ্র করে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগের জেরে ভর্তি প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়। তাই কাউন্সেলিং আপাতত বন্ধ করে ভর্তির টাকা নেওয়া শুরু হয় অনলাইনে। ভর্তির সময়সীমা বাড়ানো হয় ১০ জুলাই পর্যন্ত। তার পরে দেখা যায়, শুধু কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন কলেজগুলিতেই প্রায় ৪০ হাজার আসন খালি! আসন পূরণ করতে সংরক্ষিত আসনগুলিকে অসংরক্ষিত করার পরামর্শ দিয়ে ভর্তির সময়সীমা বাড়ানো হয় ২০ অগস্ট পর্যন্ত। কিন্তু তার পরেও দেখা যাচ্ছে, অধিকাংশ আসন পূরণ হয়নি। প্রেসিডেন্সিতেও আসন ফাঁকা। এই অবস্থায় কলেজগুলিকে আরও সুযোগ দিতে চায় সরকার। পার্থবাবু এ দিন বলেন, ‘‘ঠিক রাস্তায় আবেদন করলে পড়ুয়াদের সুযোগ দেওয়া হবে। তবে দেখতে হবে, নির্দিষ্ট আসনের থেকে বাড়তি পড়ুয়া যেন ভর্তি না-হয়। ভর্তি নিতে হবে মেধার ভিত্তিতেই।’’
আশঙ্কা করা হচ্ছে, এ ভাবে দফায় দফায় সময় বাড়িয়ে ভর্তি চলতে থাকলে বিপর্যস্ত হবে পঠনপাঠন। কারণ অনেক কলেজে ২ জুলাই ক্লাস শুরু হয়ে গিয়েছে। এ বার সিমেস্টার পদ্ধতি চালু হয়েছে। ফলে ডিসেম্বরে পরীক্ষা হওয়ার কথা। কলকাতার একটি কলেজের অধ্যক্ষ বলেন, ‘‘বর্ধিত সময়ে যাঁরা ভর্তি হবেন, তাঁদের ক্লাস শুরু সেপ্টেম্বরে। তার পরের মাসেই পুজোর লম্বা ছুটি। থাকছে শুধু নভেম্বর। ডিসেম্বরে পরীক্ষা। অর্থাৎ ছ’মাসের পাঠ্যক্রম দু’মাসে শেষ করতে হবে, যেটা প্রায় অসম্ভব।’’ লেডি ব্রেবোর্ন কলেজের অধ্যক্ষা শিউলি সরকার বলেন, ‘‘অসুবিধা তো একটু হবেই।’’
আরও পড়ুন: প্রাথমিক স্তরে পঞ্চম শ্রেণিকে আনতে কমিটি
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy