Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
Suburban Trains

শিয়ালদহ মেন শাখায় বাতিল ১৫৮ ট্রেন, চরম দুর্ভোগে যাত্রীরা

পূর্ব রেলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে শুক্রবার থেকে সোমবার পর্যন্ত এই কাজ চলবে। অর্থাৎ আগামী সপ্তাহের প্রথম দিনেও দুর্ভোগ অপেক্ষা করছে নিত্যযাত্রীদের জন্য।

শিয়ালদহ স্টেশন। ফাইল চিত্র।

শিয়ালদহ স্টেশন। ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১৪:৫৪
Share: Save:

সিগন্যাল মেরামতির জন্য শিয়ালদহ মেন শাখায় ১৫৮ টি ট্রেন বাতিল করল পূর্ব রেল। এই ট্রেন বাতিলের জেরে শুক্রবার সকাল থেকেই ব্যাপক দুর্ভোগের শিকার হন অসংখ্য যাত্রী।

পূর্ব রেলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে শুক্রবার থেকে সোমবার পর্যন্ত এই কাজ চলবে। অর্থাৎ আগামী সপ্তাহের প্রথম দিনেও দুর্ভোগ অপেক্ষা করছে নিত্যযাত্রীদের জন্য।

শিয়ালদহ মেন শাখায়, ব্যারাকপুর এবং ইছাপুরের মধ্যে এখনও কিছু অংশে ম্যানুয়াল সিগন্যালিং ব্যবস্থা চালু রয়েছে। সেই কারণে ওই অংশে ট্রেন গতি বাকি অংশের তুলনায় অনেকটাই কম থাকে। পূর্ব রেলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ওই ম্যানুয়াল সিগন্যাল বদলে স্বয়ংক্রিয় করা হচ্ছে। সেই কাজ ১০ সেপ্টেম্বর শেষ হয়ে গেলে শিয়ালদহ-রানাঘাট-এর মধ্যে ট্রেনের গতি অনেকটাই বেড়ে যাবে। তাতে যাত্রীরাই উপকৃত হবেন।

কিন্তু সপ্তাহের শেষ কাজের দিনে শুক্রবার সকাল থেকেই বিপাকে পড়েন অফিস যাত্রীরা। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে এদিন বাইশ জোড়া অর্থাৎ ৪৪ টি শহরতলির ট্রেন বাতিল করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: যানজটে হাঁসফাঁস, বিকল্প পথের খোঁজ

অফিসের ব্যস্ত সময়ে নির্দিষ্ট ট্রেন না আসায় পরের ট্রেনে মাত্রাতিরিক্ত ভি্ড় হয়। এদিন সকাল থেকেই দেখা যায় ব্যারাকপুর, খড়দহ, সোদপুরের মত বিভিন্ন স্টেশনে যাত্রীদের ভিড়। সেই থিকথিকে ভিড়ের মধ্যে অনেকেই ঝুঁকি নিয়ে ট্রেনে উঠেছেন। সুলগ্না মুখোপাধ্যায় একটি রাষ্টায়ত্ত্ব ব্যাঙ্কের কর্মী। সকাল সাড়ে ন’টার মধ্যে তাঁকে ব্যাঙ্কের নিউমার্কেট শাখায় পৌঁছতে হয়। এদিন সকালে তিনি বলেন,“প্রচণ্ড ভিড় থাকায় আমাকে তিনটে ট্রেন ছে়ড়ে দিতে হয়। প্রায় চল্লিশ মিনিট অপেক্ষার পর আশা ছিল ব্যারাকপুর লোকাল একটু ফাঁকা হবে। কিন্তু সেই ট্রেনেও উঠতে না পেরে বাধ্য হয়ে বাসে করে যেতে হচ্ছে।”

আরও পড়ুন: ট্রেলার-ট্রাক বন্ধের সিদ্ধান্তে সঙ্কটে বন্দর

একই অবস্থা পার্ক স্ট্রিটের বেসরকারি সংস্থার কর্মী প্রবাল কর্মকার বা স্বরূপ নিয়োগীর। তাঁরাও বাধ্য হয়ে বিটি রোড থেকে বাস ধরেছেন। ফলে বাসেও ছিল অন্য দিনের দ্বিগুন ভিড়। অনেকেই উপায়ন্তর না থাকায় এদিন অ্যাপ ক্যাবে চড়েছেন কয়েকজন মিলে। কিন্তু সংখ্যাও তাও ছিল প্রয়োজনের তুলনায় কম। মহুয়া শীল, বেলঘড়িয়ার বাসিন্দা। তিনি অভিযোগ করেন, প্রায় আধ ঘণ্টা অপেক্ষা করার পর তিনি অ্যাপ ক্যাব পেয়েছেন। সুযোগ বুঝে অ্যাপ ক্যাবও অন্য দিনের তুলনায় বেশি ভাড়া নিয়েছে বলে অভিযোগ মহুয়ার।

তার মধ্যেই অবশ্য অধিকাংশ যাত্রীই সেই ভিড় ঠেলে ঝুঁকি নিয়ে ট্রেন ধরেছেন। পাশাপাশি এদিন বিটি রোডেও যানের গতি ছিল অন্য দিনের থেকে অনেকটা স্লথ। ডানলপ ব্রিজের তলায় রাতের ভারি বৃষ্টির ফলে রাস্তার হাল বেহাল হয়ে যায়। ফলে যানের গতি স্লথ হয়ে যায়। বিটি রোডের অন্য অংশেও বিশেষত টবিন রোড, সিঁথির কাছে যানের গতি ছিল অনেকটাই কম।

সব মিলিয়ে যাত্রীদের উৎকণ্ঠা, ফেরার সময় রাতে বা বিকেলে আরও সমস্যার মুখোমুখি হতে হবে। বিশেষ করে যাঁরা রানাঘাট বা আরও দূরে থাকেন তাঁদের। কারণ তাঁদের ট্রেনের কোনও বিকল্প নেই।

(বাংলার রাজনীতি, বাংলার শিক্ষা, বাংলার অর্থনীতি, বাংলার সংস্কৃতি, বাংলার স্বাস্থ্য, বাংলার আবহাওয়া - পশ্চিমবঙ্গের সব টাটকা খবর আমাদের রাজ্য বিভাগে।)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Sealdah Eastern Railways Suburban Trains
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE