দুর্ভোগ: বন্ধ ট্রেন। বেলঘরিয়া স্টেশনে বুধবার। ছবি: সজল চট্টোপাধ্যায়
সকালে ক্যানিংয়ের পরে বিকেলে টিটাগড়। তার ছিঁড়ে বিদ্যুৎ বিভ্রাটে দীর্ঘসময় ব্যাহত হল লোকাল ট্রেনের চলাচল। চরম ভোগান্তিতে পড়লেন পড়লেন যাত্রীরা।
পূর্ব রেল সূত্রে খবর, এ দিন শিয়ালদহ-ক্যানিং শাখার ক্যানিং স্টেশনে প্রথম ঘটনাটি ঘটে। ১২টা নাগাদ ওই স্টেশনের দু’নম্বর প্ল্যাটফর্মে আপ শিয়ালদহ-ক্যানিং লোকালের একটি কামরার উপর আচমকা ওভার হেডের তার ছিঁড়ে পড়ে। সঙ্গে সঙ্গে আগুন লেগে কামরার বেশ কিছু অংশ পুড়ে গিয়ে কালো দাগ হয়ে যায়।
আতঙ্কে যাত্রীরা প্লাটফর্মে ছোটাছুটি শুরু করে দেন। কিছু ক্ষণের মধ্যে ওভারহেড তারের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। রেল পুলিশ এসে দড়ি দিয়ে ট্রেনের ওই কামরাটিকে ঘিরে ফেলে। দমকলের একটি ইঞ্জিন আসে। আগুন কিছু ক্ষণে নিভে যায়। তবে এর জেরে বিকেল সাড়ে চারটে পর্যন্ত আপ ও ডাউন লাইনে ট্রেন বন্ধ ছিল। বিকেল গড়ালে ক্রমশ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। জরুরি ভিত্তিতে মেরামতির কাজ করতে বারুইপুর এবং শিয়ালদহ থেকে দু’টি মেরামতি ভ্যান রওনা হয়। পৌনে চারটে নাগাদ ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়। তিনটি ডাউন এবং চারটি আপ ট্রেন বাতিল করতে হয়। আপ এবং ডাউন মিলে আটটি ট্রেনকে ঘুটিয়ারি শরিফে থামিয়ে দেওয়া হয়।
দ্বিতীয় ঘটনাটি শিয়ালদহ মেন লাইনের টিটাগড়ে। এ দিন বিকেল পাঁচটা নাগাদ রাজ্য বিদ্যুৎ সংবহন সংস্থার হাইটেনশন লাইনের তার ছিঁড়ে রেলের ওভারহেড তারের উপর পড়ে। তার ফলে আগরপাড়া এবং শ্যামনগরের মধ্যে চারটি লাইনে ওভারহেড তার বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে। ইঞ্জিনিয়াররা যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে মেরামত করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেন। বিদ্যুৎ ফেরে সাড়ে ছ’টা নাগাদ। তত ক্ষণে যাত্রীদের ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে। আপ এবং ডাউন লাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ হওয়ার শিয়ালদহ-সহ বিভিন্ন স্টেশনে আটকে পড়েন অফিস ফেরত হাজার হাজার যাত্রী। সাড়ে ছ’টার পরে ট্রেন চলাচল শুরু হয়। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে রাত গড়িয়ে যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy