সদ্যোজাতকে দেখতে হাসপাতালে তিতাস। —নিজস্ব চিত্র।
আগের দিন বাসের মধ্যে গৃহবধূর প্রসবের জন্য তাঁরা সব ব্যবস্থা করেছিলেন। মা ও শিশু কেমন রয়েছেন, খোঁজ নিতে মঙ্গলবার হাসপাতালে পৌঁছে যান এক সহযাত্রী যুবক। মঙ্গল কামনার পাশাপাশি সাহায্যের আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি।
সোমবার দুপুরে ৫৭ এ রুটের বাসে প্রসববেদনা শুরু হয় হুগলির গোবরা শিবতলার বাসিন্দা অঞ্জলি বর্মার। বাসের চালক ও সহযাত্রীদের সহযোগিতায় বাসের মধ্যেই প্রসবের পাশাপাশি বাসটিকে ঘুরিয়ে কোনা হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে মা ও শিশুকে ভর্তির ব্যবস্থা হয়েছিল। এ কাজে যাঁরা অগ্রণী ভূমিকা নেন, তাঁদের অন্যতম হাওড়ার বাসিন্দা পেশায় মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভ তিতাস ভট্টাচার্য।
বছর আঠাশের ওই যুবকের এ দিন দেখা মিলল কোনা হাসপাতালে। জানালেন, গত রাতেও হাসপাতালে এসেছিলেন। এ দিন বললেন, ‘‘পেশাগত কারণে একজন প্রসূতিকে সাহায্য করার বিষয়টা কিছুটা জানা ছিল। আগেও পাঁশকুড়া ও শিবপুরে এ ধরনের ঘটনার সাক্ষী ছিলাম। তবে বাসের মধ্যে হওয়ায় এ বারের ব্যাপারটা অন্য রকম।’’
সদ্যোজাতের মা অঞ্জলি বলেন, ‘‘কালকে যন্ত্রণা শুরু হতেই ঈশ্বরকে ডেকে শুধু বলছিলাম, কোনও রকমে রাস্তাটা পার করে দাও। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মানুষই পাশে এসে দাঁড়াল। এটা আমি ভুলতে পারব না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy