—প্রতীকী ছবি
নিম্নচাপ থেকে জন্ম নিয়ে ভয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় হয়ে উঠেছিল তিতলি। তার পরে শক্তি হারিয়ে ফের নিম্নচাপে পরিণত সেই প্রজাপতি বিদায় নিতেই ফিরে এল শরতের আবহ। রবিবার, পঞ্চমীর সকাল থেকেই আকাশ নীল। উড়ে বেড়াচ্ছে পেঁজা তুলোর মতো মেঘ। হাজির ঝকঝকে রোদ!
আলিপুর আবহাওয়া দপথরের খবর, নিম্নচাপ এখন বঙ্গোপসাগর সংলগ্ন পূর্ব বাংলাদেশের উপরে রয়েছে। গাঙ্গেয় বঙ্গের উপরে তার আর কোনও জারিজুরি খাটবে না। উৎসবের মরসুম খটখটে শুকনো থাকবে বলেই আশা করা হচ্ছে। দিনে রোদ কমবেশি জ্বালালেও রাতে মিলবে হিমের পরশ। বৃষ্টির পরে কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা এ দিনও অবশ্য স্বাভাবিকের কোঠা ছুঁতে পারেনি। আলিপুরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের থেকে এক ডিগ্রি কম।
গত সপ্তাহের মাঝামাঝি বঙ্গোপসাগরে ঘনীভূত অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘তিতলি’র প্রভাবে কালো মেঘ জমেছিল পুজোর আকাশে। তৈরি হয়েছিল নানা আশঙ্কা। তবে হাওয়া অফিস গো়ড়া থেকেই আশ্বাস দিয়েছিল, একটু বেগ দিলেও বোধনের আগেই আকাশের গায়ে লাগবে উৎসবের মেজাজ। শেষ পর্যন্ত সেটাই হয়েছে। আজ, সোমবার মহাষষ্ঠীতে আকাশও সহযোগিতা করবে বলেই জানাচ্ছে হাওয়ামোরগ।
আবহবিদেরা বলছেন, নিম্নচাপের প্রভাব কেটে যাওয়াতেই আকাশ পরিষ্কার হয়েছে। রোদ ওঠার ফলে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। উত্তুরে হাওয়া তিরতির করে মালুম হতে পারে রাতে। আবহাওয়া মণ্ডপ-সফরে সহযোগিতা করবে বলেই আশ্বাস দিচ্ছেন আবহবিদেরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, হেঁটে হেঁটে মণ্ডপ ঘুরলেও ঘেমেনেয়ে একশা হওয়ার আশঙ্কা আর নেই। পুজোর দিনগুলিতে ৩২-৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছেপিঠে থাকবে দিনের তাপমাত্রা। রাতের তাপমাত্রা ২৩-২৪ ডিগ্রির কাছাকাছি থাকতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy