Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

সিকিমের বিরুদ্ধে পথে

এ দিন দুপুর ১টা নাগাদ সংগঠনের সদস্য যুবকেরা সেবক মোড়ে রাস্তায় নেমে প্রথমে বিক্ষোভ দেখান। বাংলা ভাগের বিরোধিতা করে স্লোগান দেওয়া হয়। মোর্চা সভাপতি গুরুঙ্গ, রোশন গিরিদের গ্রেফতারির দাবি তোলা হয়।

গোর্খ্যাল্যান্ডের বিরোধিতায় স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলন।

গোর্খ্যাল্যান্ডের বিরোধিতায় স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলন।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০৩:৫১
Share: Save:

গোর্খ্যাল্যান্ডের দাবির বিরোধিতা করে স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলন করেছে শিলিগুড়ি। এ বার পাহাড়ে ধারাবাহিক বিস্ফোরণ, হামলা, হিংসার ঘটনায় অভিযুক্তদের আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ তুলে সিকিম সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হল শিলিগুড়িতে।

রবিবার দুপুরে শহরের সেবক মোড়ে মানব বন্ধন ছাড়াও সিকিম পুলিশ-প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ দেখিয়ে কুশপতুল পোড়ানো হয়েছে। বিক্ষোভকারীদের দাবি, পাহাড়ের আন্দোলনকারীদের একাংশ হিংসার পথ বেছে নেওয়ায় নানা মামলা করেছে সরকার। আর সেই অভিযুক্তদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল হয়ে উঠেছে সিকিম। শনিবার নামচিতে মোর্চা নেতা বিমল গুরুঙ্গের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় কমিটির গোপন বৈঠক হচ্ছিল। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ সে রাজ্যের পুলিশকে সব জানিয়ে ধরপাকড়ে নামলেও অসহযোগিতা করা হয়েছে। এমনকী, রাজ্য পুলিশের অফিসারদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলে বাধা সৃষ্টি করা হচ্ছে। সেই সুযোগে অভিযুক্তরা পালিয়ে যাচ্ছে। তাই সিকিমের পুলিশ-প্রশাসনের একাংশের বিরুদ্ধেও দেশদ্রোহিতার মামলা করা দরকার।

শহরের ‘জয় বাংলা’ নামের একটি সংগঠনের তরফে এ দিন ওই বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়েছিল। সংগঠনের তরফে প্রদীপ দাশগুপ্ত বলেন, ‘‘সিকিম আমাদের পার্শ্ববতী রাজ্য। শিলিগুড়ির উপর যোগাযোগ, বাণিজ্য, খাদ্য সামগ্রী সংগ্রহ ইত্যাদি বিভিন্ন ভাবে রাজ্যটি নির্ভরশীল। আমাদেরও বহু মানুষ সেখানে থাকেন। কিন্তু পাহাড়ের আন্দোলনের পর থেকেই সিকিম উস্কানিমূলক কাজ করছে। রাজ্যকে সাহায্যের বদলে গুরুতর দেহদ্রোহিতার মামলার অভিযুক্তদের সহযোগিতা করছে। এদের বিরুদ্ধেও মামলার দাবিতে আমরা পথে নেমেছি।’’

এ দিন দুপুর ১টা নাগাদ সংগঠনের সদস্য যুবকেরা সেবক মোড়ে রাস্তায় নেমে প্রথমে বিক্ষোভ দেখান। বাংলা ভাগের বিরোধিতা করে স্লোগান দেওয়া হয়। মোর্চা সভাপতি গুরুঙ্গ, রোশন গিরিদের গ্রেফতারির দাবি তোলা হয়। শেষে কুশপুতুল পোড়ানো হয়। আধ ঘণ্টার জন্য সেবক মোড়ে যানজট তৈরি হয়। শিলিগুড়ি থানা ও ট্রাফিক পুলিশের কর্মীরা পরিস্থিতি সামলান। বিক্ষোভকারীরা মাইকে জানান, সিকিমের কাজকর্মের উপর নজর রাখা হচ্ছে।

এর মধ্যেই শনিবার রাত থেকে শিলিগুড়ির উপকণ্ঠে বিভিন্ন উপনগরী, নতুন করে তৈরি হওয়ায় বিভিন্ন এলাকায় পুলিশের তল্লাশি নজরদারি শুরু হয়েছে। পুলিশ সূত্রের খবর, মাটিগাড়ার উত্তরায়ণ, মেডিক্যাল কলেজ লাগোয়া এলাকা, খাপরাইল, শালবাড়ি, চেকপোস্ট, দুই মাইল এলাকার বিভিন্ন বহুতল, কমপ্লেক্সে পুলিশ খোঁজখবর করেছে। পুলিশের কাছে খবর, পাহাড়ের বিভিন্ন মামলার অভিযুক্তদের অনেকে সমতলের বিভিন্ন এলাকায় পরিচিত এবং আত্মীয়দের বাড়িতে এসে থাকছেন।

যদিও রবিবার রাত অবধি কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। বেশ কিছু লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। সেবক রোডের এমনই একটি এলাকা থেকে প্রাক্তন জিটিএ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। বাগডোগরা এলাকায় রাজ্য বিরোধী পোস্টার এবং আগ্নেয়াস্ত্র-সহ দু’জনকে ধরা হয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE