Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

বিক্ষিপ্ত গোলমাল, ভাঙচুর সত্ত্বেও বন‌্ধে জনজীবন মোটের উপর স্বাভাবিক

শহর কলকাতায় যান চলাচল স্বাভাবিক থাকলেও লোকজন তুলনায় কম বেরিয়েছিলেন। কয়েকটি জায়গায় বিক্ষোভ হলেও কোনও গোলমাল হয়নি। নিজের ‘গড়’ মুর্শিদাবাদে তাঁর আর সেই প্রতিপত্তি নেই। তবু প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী ভারত বন্‌ধের দাপট দেখাতে সোমবার নিজেই নেমেছিলেন বহরমপুরের রাস্তায়।

নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৩:২৮
Share: Save:

কোথাও সড়ক, কোথাও রেল অবরোধ। আর তার জেরে সোমবার, সপ্তাহের প্রথম দিনই কাজে বেরিয়ে ভুগতে হল এ রাজ্যের বহু মানুষকে। তবে, মোটামুটি ভাবে রাজ্যের জনজীবনে খুব বেশি প্রভাব ফেলতে পারেনি কংগ্রেস ও বামেদের ডাকা এ দিনের বন‌্ধ। নবান্ন-সহ রাজ্যের সরকারি অফিস-কাছারিতে হাজিরা ছিল স্বাভাবিক। ব্যবসা-বাণিজ্য তেমন ভাবে বিঘ্নিত হয়নি। প্রভাব পড়েনি উত্তরের চা-বাগানগুলিতে।

শহর কলকাতায় যান চলাচল স্বাভাবিক থাকলেও লোকজন তুলনায় কম বেরিয়েছিলেন। কয়েকটি জায়গায় বিক্ষোভ হলেও কোনও গোলমাল হয়নি। নিজের ‘গড়’ মুর্শিদাবাদে তাঁর আর সেই প্রতিপত্তি নেই। তবু প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী ভারত বন্‌ধের দাপট দেখাতে সোমবার নিজেই নেমেছিলেন বহরমপুরের রাস্তায়। তবুও সার্বিক ভাবে এই জেলায় বন্‌ধ সফল হয়নি। অধীর অবশ্য দাবি করেছেন, ‘‘বন্‌ধ সর্বাত্মক।’’

অবরোধ ছিল মূলত দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে। দুর্গাপুরের মায়াবাজারের কাছে আসানসোল-হাওড়া অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস আটকে দেন সিপিএম কর্মী-সমর্থকেরা। পানাগড় বাজারে জাতীয় সড়ক অবরোধ করা হয়। সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ ভাতারে বর্ধমান-কাটোয়া রোডে যানবাহন আটকাতে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে দু’দফায় সিপিএম কর্মীদের ধস্তাধস্তি হয়।

কলকাতা লাগোয়া উত্তর ২৪ পরগনার ইছাপুরে, হাবড়া-১ নম্বর রেলগেট এলাকায় যশোর রোডে এবং হাবড়া স্টেশনে আধঘণ্টা রেল অবরোধ করে বামেরা। দক্ষিণ ২৪ পরগনার দক্ষিণ বারাসতে ভোর ৫টা থেকে রেললাইনে কলাপাতা ফেলে ট্রেন আটকায় সিপিএম এবং এসইউসি সমর্থকেরা। পরে আরও কিছু জায়গায় ওই ভাবেই ট্রেন আটকানো হয়।

বামেরা রেল অবরোধ করে হুগলির পান্ডুয়া, ডানকুনি, শ্রীরামপুর, সিঙ্গুরে। ডানকুনির গুমোডাঙায় দু’ঘণ্টা দিল্লি রোড অবরোধ করে কংগ্রেস। শেওড়াফুলিতে জিটি রোডে কংগ্রেসের অবরোধ তুলতে পুলিশকে বলপ্রয়োগ করতে হয়। রিষড়ায় রেল অবরোধ করে কংগ্রেস।

খড়্গপুরে দোকানপাট এবং কয়েকটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক বন্ধ ছিল। রাস্তাঘাট ছিল ফাঁকা। এ ছাড়া পশ্চিম মেদিনীপুরের অন্যত্র এবং ঝাড়গ্রামে জনজীবন স্বাভাবিক ছিল। পূর্ব মেদিনীপুরে দোকানপাট খোলা থাকলেও যানবাহন কম চলেছে। নদিয়ায় বন্‌ধে মিশ্র প্রভাব পড়ল। কোথাও বেসরকারি বাস প্রায় চলেইনি। জেলা সদর কৃষ্ণনগর এবং শান্তিপুরে বহু দোকানপাটই খোলেনি। রানাঘাটে এমনিই সোমবার দোকান-বাজার বন্ধ থাকে। ফলে, আলাদা করে বন্‌ধ বোঝা যায়নি।

উত্তরবঙ্গের মালদহের ইংরেজবাজারে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ হয়। রায়গঞ্জ, কালিয়াগঞ্জ, হেমতাবাদ, ইটাহার— সর্বত্র বেশিরভাগ দোকানপাট বন্ধ ছিল। হাতে গোনা দু’একটি জায়গায় বেসরকারি বাস চলে। তবে সরকারি বাস চালু ছিল। শিলিগুড়ির বিভিন্ন এলাকায় দোকান বন্ধ ছিল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Strike West Bengal Life
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE