প্রতীকী ছবি।
ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত দিয়ে ফেসবুকে গুজব ছ়ড়ানো হয়েছিল। তা থেকেই অশান্তি ছড়িয়ে পড়ে বসিরহাটে। সেই ঘটনার তদন্তে নেমে দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গুজবের ভয়ানক রূপ দেখেছে ঘাটালও। ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত দিয়ে গুজব ছড়ানোয় ব্যাপক অশান্তির সৃষ্টি হয় সেখানেও। এক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে অপপ্রচারের তদন্ত শুরু করেছিল সিআই়ডি। তাতে অবশ্য এখনও কেউ গ্রেফতার হয়নি।
পুলিশি সূত্রের খবর, এই ধরনের কিছু ক্ষেত্রে মামলা রুজু হলেও তা হিমশৈলের চূড়ামাত্র। মামলা রুজু হলেও অনেক ক্ষেত্রেই মূল অপরাধী ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকে। কেন?
আরও পড়ুন: মন্দির গড়তে চেক মুসলিম যুবকের
সাইবার অপরাধ দমনে যুক্ত পুলিশ অফিসারদের অনেকেই বলছেন, এ ক্ষেত্রে মূল অভিযুক্তের ইন্টারনেট প্রোটোকল (আইপি) অ্যাড্রেস খুঁজে বার করাটাই সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। বহু ক্ষেত্রেই মার্কিন আন্তর্জাতিক তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাগুলি তথ্য দিতে চায় না বা নানা কারণে দেরি করে। যেমনটা হয়েছে কয়েক বছর আগে মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে অপপ্রচারের ঘটনায়। হোয়াটসঅ্যাপে গুজব ছড়ানো হলে তার মূলে পৌঁছনো আরও কঠিন হয়ে পড়ে।
অনেকের বক্তব্য, যারা গুজব ছড়াচ্ছে, তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেও তো উৎসে পৌঁছনো যেতে পারে। সম্প্রতি গড়িয়ায় এক বৃদ্ধাকে মারধরের ঘটনায় এ ভাবেই কয়েক ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্ত ও নিগৃহীতাকে খুঁজে পেয়েছিল বাঁশদ্রোণী থানা।
রাজ্যের সাইবার সংক্রান্ত মামলার বিশেষ সরকারি কৌঁসুলি বিভাস চট্টোপাধ্যায় বলছেন, ‘‘এ ক্ষেত্রে তদন্তে কতটা সহযোগিতা পাওয়া যাচ্ছে, সেটা বড় প্রশ্ন। এই ধরনের তদন্তে সন্দেহভাজন কাউকে চিহ্নিত করার পরেও নানা ধরনের আইনি জটিলতা থাকে। হোয়াটসঅ্যাপের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জটিল হওয়ায় তদন্ত আরও কঠিন হয়ে পড়ছে।’’
তা হলে উপায় কী?
তদন্তকারীরা জানান, আইপি অ্যাড্রেস না-পেলে ঘুরপথেও তদন্ত চালানোর উপায় আছে। সে-ক্ষেত্রে সময় বেশি লাগে, পরিশ্রমও অনেক বেশি হয়। বসিরহাট ও ঘাটালে ঘুরপথেই সাফল্য মিলেছে। ইদের ছুটি নিয়ে গুজবে তদন্তকারীরা ঘুরপথেই অভিযুক্তকে ধরতে পারেন কি না, সেটাই এ বার দেখার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy