Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

মুখ্যমন্ত্রীর সফরের মাঝে আগ্নেয়াস্ত্র, গুলি-সহ ধৃত দুই

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতরা ঠিকাদারির সঙ্গে যুক্ত৷ ঠিক কী কারণে তাঁরা আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে আলিপুরদুয়ারে এল, তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ৷

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
আলিপুরদুয়ার শেষ আপডেট: ৩১ অক্টোবর ২০১৮ ০৭:১৭
Share: Save:

মুখ্যমন্ত্রীর উত্তরবঙ্গ সফর চলাকালীন আলিপুরদুয়ার জংশন ডিআরএম দফতরের কাছে থেকে আগ্নেয়াস্ত্র-সহ দু’জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ৷ পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতরা ঠিকাদারির সঙ্গে যুক্ত৷ ঠিক কী কারণে তাঁরা আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে আলিপুরদুয়ারে এল, তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ৷

কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, মুখ্যমন্ত্রীর সফর চলাকালীন অসম সীমানায় এত পুলিশের নজরদারি, নিরাপত্তার কড়াকড়ি সত্ত্বেও কী করে ওই দু’জন আগ্নেয়াস্ত্র-সহ আলিপুরদুয়ারে প্রবেশ করল তা নিয়ে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত দু’জনের নাম প্রণয় পাল ও মোতিয়ার প্রধানী৷ তাঁদের বাড়ি অসমের গোসাইগাঁও-তে৷ মঙ্গলবার দুপুরে তাঁরা একটি গাড়িতে চেপে আলিপুরদুয়ার জংশনে রেলের ডিআরএম অফিসের সামনে আসেন৷ তখনই স্থানীয়রা তাঁদের গাড়ির ভিতরে বন্দুক দেখতে পান৷ সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের ধরে ফেলে পুলিশে খবর দেন তাঁরা৷ পুলিশ গিয়ে তাঁদের গ্রেফতার করে৷ ধৃতদের কাছ থেকে একটি দেশি বন্দুক ও তিন রাউন্ড গুলি মিলেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে৷

পুলিশ সূত্রের খবর, অসম সীমানা লাগোয়া কুমারগ্রামের পাকড়িগুড়ি দিয়ে এই দু’জন আলিপুরদুয়ারে ঢোকেন৷ মুখ্যমন্ত্রীর উত্তরবঙ্গ সফরের জন্য ওই এলাকায় এই মুহূর্তে ব্যাপক নজরদারি ও তল্লাশি চলছে৷ কিন্তু সেসব এড়িয়ে কী করে ওই দু’জন আলিপুরদুয়ারে প্রবেশ করল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বিভিন্ন মহলে৷

আলিপুরদুয়ারের পুলিশ সুপার সুনীল যাদব বলেন, “পাকড়িগুড়িতে নাকা চেকিং-এর সময় গাড়িটিকে আটকানোর চেষ্টা করা হয়েছিল৷ কিন্তু গাড়িটি না দাঁড়িয়ে এগিয়ে যায়৷ সঙ্গে সঙ্গে গাড়িটির নম্বর বিভিন্ন থানায় জানিয়ে খোঁজ শুরু হয়৷ ইতিমধ্যেই খবর আসে আলিপুরদুয়ার জংশনে স্থানীয়রা গাড়িটিকে ধরেছেন৷ তারপরই গাড়িটি আটক করা হয়৷ বন্দুক ও গুলি-সহ দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়৷”

কিন্তু ঠিক কী কারণে ওই দু’জন বন্দুক নিয়ে আলিপুরদুয়ার ডিআরএম অফিসের সামনে এলেন তা এখনও স্পষ্ট নয়৷ রেলের এক কর্তা বলেন, ডিআরএম অফিসের সামনে গোলমালের খবর পেয়েই পুলিশকে জানান হয়৷ পুলিশ সুপার বলেন, প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, ধৃতরা একটি ঠিকাদারি সংস্থার সঙ্গে যুক্ত৷ কী কারণে তাঁরা অস্ত্র নিয়ে এসেছে তা জানতে তদন্ত শুরু হয়েছে৷

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE