নিথর: মেঠো রাস্তার ধারে ধানখেতে তৃণমূলকর্মী চন্দন ষ়ড়ঙ্গীর দেহ। পাশে পড়ে তাঁর মোটরবাইক। মঙ্গলবার ঝাড়গ্রামের কাছে। নিজস্ব চিত্র।
তৃণমূল নেতা চন্দন ষড়ঙ্গী খুনে বহিরাগত ভাড়াটে খুনিদের কাজে লাগানো হয়েছিল। প্রাথমিক তদন্তে এমনই অনুমান পুলিশের।
তৃণমূলের জামবনি ব্লক কমিটির সদস্য চন্দন খুনের পর ঝাড়গ্রামে গিয়ে দুই মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিকেই দুষেছিলেন। শুভেন্দু বলেছিলেন, ‘‘ঝাড়খণ্ডের বিজেপির মদতে এসব হচ্ছে।’’ খুনের ধরন দেখে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশেরও অনুমান, পেশাদারদের দিয়েই এই খুন করানো হয়েছে। গাড়িতে করে খুনিরা এসেছিল কি না, সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রাথমিক কিছু তথ্যের ভিত্তিতে দুবড়ার এক গাড়িচালককে জেরা করা হচ্ছে। বুধবার ঝাড়গ্রামের পুলিশ সুপার অমিতকুমার ভরত রাঠৌর বলেন, ‘‘তদন্তের বিষয়ে এই মুহূর্তে কিছু বলা যাবে না। তদন্ত খুব ভাল ভাবে চলছে।’’
খুনের ঘটনায় ধৃত প্রধান অভিযুক্ত তাপস মল্লিককে এ দিন ঝাড়গ্রাম আদালতে তোলা হয়। আদালত চত্বরে পুলিশের গাড়ি থেকে নেমে সিপিএমের জামবনি এরিয়া কমিটির সদস্য তাপস দাবি করেন, তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে। প্রধান নির্বাচন নিয়ে গোষ্ঠী দ্বন্দ্বে খুন হয়েছেন চন্দন। দুবড়ার একটি হাইস্কুলের শিক্ষাকর্মী তাপসকে মঙ্গলবারই স্কুল থেকে ধরে নিয়ে যায় পুলিশ। যদিও অভিযুক্তের আইনজীবী সৌমী ঘোষের দাবি, আদালতে পেশ করা পুলিশের নথিতে দেখানো হয়েছে, মঙ্গলবার বিকেলে কাশিয়ার জঙ্গল এলাকা থেকে তাপসকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এ দিন আদালতে সরকারি আইনজীবী অনিল মণ্ডল অভিযুক্তের চোদ্দো দিন পুলিশি হেফাজতের আবেদন জানান। অভিযুক্তের আইনজীবী দাবি করেন, প্রকৃত ঘটনা আড়াল করতে তাঁর মক্কেলকে মিথ্যা অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঝাড়গ্রাম প্রথম এসিজেএম আদালতের বিচারক এডুইন লেপচা ধৃতের ৮ দিন পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন। এফআইআরে নাম রয়েছে কমল সিংহ, বংশী সিংহ, ভীম সরেন, মিঠুন খামরুই, মলিন সরেন, ঝড়ু পাইন, নিতাই হাটুইয়ের। সকলেই বিজেপির সক্রিয় কর্মী। এরমধ্যে মলিন এ বারের দুবড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের খাটখুরা বুথ থেকে বিজেপির জয়ী প্রার্থী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy