প্রধানমন্ত্রীর যাতায়াতের পথ কিংবা খেলার নির্ঘণ্ট, কোনওটাই বদলাচ্ছে না। বিশাল বাহিনী মোতায়েন করেই শনিবার রাতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কনভয় নিরাপদে রাজভবনে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করল কলকাতা পুলিশ।
লালবাজার সূত্রের খবর, মোদীর সুরক্ষার দায়িত্বে শহরে থাকছেন প্রায় ১০ থেকে ১৫ হাজার পুলিশকর্মী। রাতে রাজভবন এবং রেড রোডের আশপাশেও থাকবে বিশাল বাহিনী। ইডেনে ক্রিকেট ম্যাচ শেষের পরে রাজভবনে ঢোকার পথে কনভয় যাতে কোনও ভাবে বাধাপ্রাপ্ত না হয়, তার জন্য ওই বাহিনীর সাহায্যেই মাঠ-ফেরত দশর্কদের রাস্তা পারাপার সাময়িক ভাবে আটকে দেওয়া হবে।
পুলিশ জানায়, আইপিএল-এর ম্যাচ থাকায় ইডেন গার্ডেন্স এলাকা দিয়ে মোদীর কনভয়ের যাতায়াতে আপত্তি তোলেন স্পেশ্যাল প্রোটেকশন গ্রুপের (এসপিজি) অফিসারেরা। কারণ হিসেবে কলকাতা পুলিশ অফিসারদের তাঁরা বলেছেন, নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী ম্যাচ শেষ হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই নজরুল মঞ্চ ও রামকৃষ্ণ মিশন সেবা প্রতিষ্ঠানের অনুষ্ঠান শেষে রেড রোড ধরে রাজভবনে ঢোকার কথা প্রধানমন্ত্রীর। ফলে মাঠ-ফেরত দর্শকদের ভিড় কনভয়ের পথে বাধা হওয়ার আশঙ্কা থাকেই।
লালবাজার সূত্রের খবর, এ নিয়ে শুক্রবার পুলিশ অফিসারদের নিয়ে বৈঠক করেন সিপি সুরজিৎ কর পুরকায়স্থ। কলকাতা সফরে প্রধানমন্ত্রীর যাতায়াতের পথ মসৃণ রাখতে বিভিন্ন নির্দেশ দেন কমিশনার। আজ, শনিবার ইডেনে আইপিএল শেষ হওয়ার কথা সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায়। নজরুল মঞ্চ ও রামকৃষ্ণ মিশন সেবা প্রতিষ্ঠানের অনুষ্ঠান শেষ করে মোদীর রাজভবনে পৌঁছনোর কথা রাত আটটার পরে। এক পুলিশ কর্তা বলেন,‘‘চেষ্টা করছি মাঝের ওই সময়ে যত বেশি সংখ্যক দর্শকদের রাজভবন চত্বর পার করে দিতে। যাতে প্রধানমন্ত্রীর কনভয় পার করানোর জন্য রাস্তার দু’পাশে ব্যারিকেড করা হলে আটকে থাকা দর্শকদের মধ্যে ভিড়ে দুর্ঘটনার আশঙ্কা এড়ানো যায়।’’
লালবাজার সূত্রের খবর, শনিবার বিকেল সাড়ে ৫টা নাগাদ দমদম বিমানবন্দরে নামবেন প্রধানমন্ত্রী। সেখান থেকে হেলিকপ্টারে রেসকোর্স। তার পরে সড়কপথে এজেসি বসু রোড উড়ালপুল, সৈয়দ আমির আলি অ্যাভিনিউ, গড়িয়াহাট রোড এবং সার্দান অ্যাভিনিউ হয়ে প্রথমে নজরুল মঞ্চে এবং পরে শরৎ বসু রোড হয়ে রামকৃষ্ণ মিশন সেবা প্রতিষ্ঠান হাসপাতালে অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা মোদীর। রাতে রাজভবনে ফেরার কথা তাঁর।
রবিবার সকাল ৭টা নাগাদ রাজভবন থেকে দক্ষিণেশ্বরে পুজো দিয়ে বেলুড় মঠে যাবেন মোদী। তার পরে বালি জুটমিল মাঠ থেকে হেলিকপ্টারে বার্নপুর এবং অন্ডাল যাওয়ার কথা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy